গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার প্রতীকী নৌবহর বা ফ্লোটিলা অভিযান কার্যত শেষ পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় পরিচালিত এক দীর্ঘ অভিযানে নৌবহরের অধিকাংশ ছোট জাহাজই এখন ইসরায়েলি নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। অল্প যে কয়েকটি জাহাজ এখনও সচল রয়েছে, সেগুলোর পেছনেও জোরেশোরে পিছু ছুটছে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডো ইউনিট।
আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গতকাল রাত থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থানরত জাহাজগুলোকে আটক করার অভিযান শুরু করে, যা আজ সকালেও অব্যাহত ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা'র মোট ৪৭টি নৌযানের মধ্যে ৪০টিই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। আটক হওয়া এই জাহাজগুলো থেকে দুই শতাধিক মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সামরিক বাহিনী আরও দাবি করেছে যে, তাদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ফ্লোটিলার চারটি জাহাজ কারিগরি সমস্যার কারণে সাগরে আটকে পড়েছে। নৌবাহিনী ওই চার জাহাজে থাকা মানবাধিকার কর্মীদেরকেও গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাকি তিনটি জাহাজও শিগগিরই ইসরায়েলি শায়েতেত-১৩ নৌ কমান্ডো ইউনিটের হাতে ধরা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে 'গ্লোবাল সুমুদ লাইভ ফ্লোটিলা ট্র্যাকারে' দেখা যাচ্ছে ফ্লোটিলায় মোট ৪৪টি জাহাজ ছিল। ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট, মিকেনো, শিরিন ও সামারটাইম...জং নামের চারটি জাহাজ এখনও গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে জানা গিয়েছিল, মিকেনো নামের একটি জাহাজ গাজার সমুদ্রসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল।
গাজাগামী ৪০ দেশের ত্রাণবহরকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'যাত্রীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।'
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কোনো জাহাজ যাতে নৌবাহিনীর চোখ এড়িয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকা সারাক্ষণ রাডার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।