মনঃসংযোগ ছাড়া পড়াশোনা অসম্ভব। কিন্তু,অনেক শিশুই পড়াশোনায় অমনোযোগী, যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দেয় অভিভাবকদের।
মনঃসংযোগের অভাবে পরীক্ষার ফলও তারা ভালো করতে পারে না। এ নিয়ে বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। কিছু উপায় অবলম্বন করলে সন্তানের অন্যমনস্কতা সহজে কাটাতে পারেন। যেমন-
১. সন্তান যখন কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে, তখন ঠিক কোন পর্যায়ে এসে সে মনঃসংযোগ হারাচ্ছে, তা লক্ষ্য করুন।
কোন কাজে সে বেশি আগ্রহী তা জানতে চেষ্টা করুন। তার আগ্রহ ও অমনোযোগী হওয়ার ক্ষেত্রগুলো বুঝলে সহজেই তার সমস্যাগুলিও বুঝতে পারবেন।
২. সন্তান যখন লেখাপড়ায় ব্যস্ত, তখন তার সামনে বসে টিভি দেখা, গান শোনা অথবা মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন।
মনোবিদদের মতে, এ সব ছোটদের মনঃসংযোগ নষ্ট করে। বরং সে সময় নিজেও কোনও বই পড়ুন অথবা সেলাইফোঁড়াই, লেখালেখি করুন— যাতে শিশুর চারপাশে একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে।
৩. অনেক অভিভাবকই আছেন যারা সন্তানের চঞ্চলতা সামলাতে না পেরে তার হাতে মোবাইল তুলে দেন। নিজেরাই তাকে মোবাইল ব্যস্ত রাখেন।
চিকিৎসকদের মতে, এতে শিশুর মস্তিষ্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। মোবাইল না দিয়ে তাকে সৃজনশীল কোনো কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।
৪. বড় কোনও কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দিন। এতে সন্তানের উপর চাপ পড়বে না, সে সহজেই কাজটি করতে পারবে। দরকারে আপনিও সেই কাজে তাকে সাহায়্য করুন।
সন্তানকে বাড়ির হালকা কিছু কাজ করতে দিন। তাকে বুঝতে দিন, এই কাজটা তারই, তাকেই করতে হবে। এতে দিনে দিনে কাজের গুরুত্ব বুঝে সে মনোযোগী হয়ে উঠবে।