অনেকেই ওজন কমাতে সকালে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খান। গবেষণা বলছে, নিয়ম মেনে অ্যাপল সিডার ভিনেগার খেলে শরীরে বিপাকক্রিয়া বাড়ে, যার ফলে ওজনও কমে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যে শুধু ওজন কমাতেই উপকারী তা নয়, রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। সেই হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে, হজমে সাহায্য করে এই ভিনেগার। এটি সংক্রমণ কমাতেও ভূমিকা রাখে। তবে,ইচ্ছেমতো খেলে হবে না। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে হবে নিয়ম মেনে। তাহলেই উপকার মিলবে।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার ফার্মেন্টেড আপেলের জুস থেকে তৈরি হয়। আপেলে থাকা প্রাকৃতিক সুগার ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় অ্যালকোহলে পরিণত হয় এবং এই অ্যালকোহল থেকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড তৈরি হয়। অ্যাসিটিক অ্যাসিডের কারণে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার গন্ধযুক্ত ও ঝাঁঝালো স্বাদযুক্ত হয়।এটির মধ্যে প্রোটিন, এনজাইম ও কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া বেশি পরিমাণে থাকে।
যারা ওজন কমাতে চাইছেন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।
অনেকেই অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে লেবু যোগ করেন, যা একদমই উচিত নয়। লেবুতে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। থাকে। এই দুই ধরনের অ্যাসিডযুক্ত খাবার একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়।
যারা ডায়াবেটিস রোগী, ওষুধ খাচ্ছেন এবং সুগার লেভেল আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আনতে চান, তারা খাওয়ার আগে বা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন।
কাদের অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া ঠিক নয়
অ্যাসিডিটি, গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা থাকলে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া উচিত নয়। যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে বা মাঝে মাঝে কমে যায় তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। কারণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পটাশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ডায়োবেটিসের রোগী যাদের দু’বেলা ইনসুলিন নিতে হয় তারা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ সুগার লেভেল একদম কমে যেতে পারে।
যাদের অ্যাসিটিক পাথর তৈরি হয় কিডনিতে, তারা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাবেন না। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তারা এটি এড়িয়ে চলুন। যাদের দাঁতের সমস্যা যেমন এনামেল ক্ষয়ে যাওয়া, গর্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা আছে তারাও অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া থেকে বিরত থাকন।