কানাডা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে পারেন জেসি মার্শ, এমন খবর বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে কিছু দিন ধরে। এসব গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন মার্শ। পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তার।
গত মে মাসে কানাডার প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন মার্শ। তার কোচিংয়ে এবারের কোপা আমেরিকায় চমৎকার পারফরম্যান্স করছে কানাডা। বড় কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো খেলেছে তারা সেমি-ফাইনালে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অবশ্য প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেরে ওঠেনি তারা।
তবে কানাডার ধারেকাছেও ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের পারফরম্যান্স। গ্রুপ পর্বের বৈতরণীই পার করতে পারেনি আসরের স্বাগতিক দল। দলের নিদারুণ ব্যর্থতায় চাকরি হারান কোচ গ্রেগ বারহল্টার। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বে মার্শের আসা নিয়ে গুঞ্জন ডালপালা ছড়াতে শুরু করেছে।
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে কানাডা। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাকে নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনা থামিয়ে দেন মার্শ।
“আমি এই (কানাডার প্রধান কোচের) চাকরি ছাড়ছি না। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার আমার কোনো আগ্রহ নেই। সত্যি কথা বলতে, (দেশটির ফুটবল) সংস্থায় বড় কোনো পরিবর্তন না এলে, ভবিষ্যতেও ওই দায়িত্বের প্রতি আমার আগ্রহ থাকবে বলে মনে হয় না।”
“আমি এখানে (কানাডার দায়িত্বে) সত্যিই খুশি। এই সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে এবং এই দলের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি এর চেয়ে বেশি খুশি আর হতে পারতাম না।”
৫০ বছর বয়সী আমেরিকান কোচ মার্শ এর আগে মেজর লিগ সকারে কোচিং করিয়েছেন। অস্ট্রিয়ার ক্লাব রেড বুল সালসবুর্গ, জার্মান ক্লাব লাইপজিগেও কাজ করেছেন তিনি। ২০২২ সালে দায়িত্ব নেন লিডস ইউনাইটেডের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া তৃতীয় আমেরিকান কোচ ছিলেন তিনি।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হতে আগ্রহীদের একজন ছিলেন মার্শ। কিন্তু তখন বারহল্টারকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
গত মে মাসে একটি পডকাস্টে মার্শ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হওয়ার সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে “খুব ভালো আচরণ করা হয়নি।”