নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ভারতের। প্রথম ম্যাচটা বলতে গেলে হেসেখেলেই জিতেছে ভারত। বল হাতে জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া আর আর্শদীপ সিং-ই মূল কাজ সেরে রেখেছিলেন। ওপেনার বিরাট কোহলি ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে রোহিত শর্মা ছিলেন। অধিনায়ক খেললেন অধিনায়কের মতোই।
৩৬ বলে ৫২ রান করা রোহিতই হয়ত ম্যাচ শেষ করতে পারতেন। তবে দশম ওভারে মাঠ ছেড়ে যান তিনি। চোট লেগেছিল অবশ্য নবম ওভারেই। পেস বোলার জস লিটলের একটি শর্ট পিচ ডেলিভারি পুল করতে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা।
কিন্তু, বল তার ডান কাঁধে আঘাত করে। তারপর ফিল্ডারের কাছে তা চলে যায়। আয়ারল্যান্ডের ফিল্ডাররা ক্যাচের আশার DRS আবেদন করলেও, আম্পায়ার কর্ণপাত করেননি।
পরের দুটো বলে রোহিত ফের জোড়া ছক্কা হাঁকান। এর পরের বলে তিনি একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। কিন্তু, যন্ত্রণা ততক্ষণে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এরপর তিনি মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ভারতের হয়ে পরে ম্যাচটা শেষ করেছেন ঋষভ পান্ত। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনে নেমে দারুণ এক ফিফটি পেয়েছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও নামলেন তিনে। সূর্যকুমার রান পেলেন না। শিভম দুবে দুই বল খেললেও অপরাজিত ছিলেন শুন্য রানেই। \
ম্যাচ শেষ রোহিতের কাছে প্রথম জানতে চাওয়া হলো হাতের অবস্থা নিয়ে। ভারতীয় অধিনায়ক উত্তর দিতে ব্যয় করলেন একটি বাক্য, ‘খানিক ব্যাথা আছে (বাহুতে)।’ এই কথা বলার পরেই রোহিত ফিরে গেলেন খেলা আর পিচ সংক্রান্ত কথায়। যেখানে সন্তুষ্টির চেয়ে হতাশা আর শংকাই ফুটে উঠল বেশি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচটাও এখানেই খেলবে ভারত। সেই ম্যাচ নিয়েও ভাবনা রোহিতের কণ্ঠে, ‘পিচ থেকে কী প্রত্যাশা করা উচিত জানি না। তবে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের যা করার, সব চেষ্টাই করব।
পাকিস্তান ম্যাচটা এমনই যেখানে, একাদশের সকলকেই অবদান রাখতে হবে। আজকের ম্যাচে পিচটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে। তবে অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছি। আশা করি পাকিস্তান ম্যাচেও একই ভাবে পারব।’