গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে অনেকে ভেবেছিল পুঁচকে পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি) দাঁড়াতেই পারবে না।
কিন্তু সবার ভাবনার বাইরে গিয়ে তারাও জানান দিল তাদের সক্ষমতা। যাক, প্রতিপক্ষ যখন দুবারের চ্যাম্পিয়ন, তখন হারটা অন্তত তাদের বেলায় সাজে না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৫ উইকেটে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
যদিও জয়ের গন্তব্যে পা রাখতে তাদেরও ভয় পেতে হয় পদে পদে। সব বাধা আর ভয় তাড়িয়ে দেন রোস্টন চেজ। ২৭ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন এ ক্যারিবিয়ান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাপুয়া নিউগিনির।
প্রথম চারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় চতুর্থ ওভার পর্যন্ত। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুই চারে ঝড়ের আভাস দিলেও শেষ বলে আউট হয়ে উল্টো বিপদ বাড়ান অধিনায়ক ভালা। পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে দলটির রান হয় ৩৪।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে একেবারে হাল ছেড়ে দেয়নি তারা। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে রান যত বাড়ানো যায়। তাতে পিএনজি সফলও বলা চলে; যেখানে দৃঢ়তার পরিচয় দেন বাউ। তাঁর ফিফটির পর শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংস খেলেন দোরিগা।
এই দু’জনের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৩৬ রান জমা করে পাপুয়া নিউগিনি। ১৮ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন দোরিগা। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন বাউ। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন রাসেল ও জোসেফ।
এদিকে টি২০ ক্যারিয়ারে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন পাপুয়া নিউগিনির চার্লস আমিনি। দেশটির তৃতীয় কোনো ব্যাটার হিসেবে চার-ছক্কার ফরম্যাটে হাজার রানের ক্লাবে নাম লেখালেন তিনি। ৪৯ ইনিংস খেলে এ রান করেন আমিনি। আর সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬২০ রান টনি উরারের।