সম্প্রতি পিএসজি ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। কোথায় যাবেন, সেটি তখন জানাননি তিনি। তবে কয়েকটি মৌসুম ধরেই তাকে কেনার চেষ্টা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই পক্ষই এ বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছে।
অবশ্য কয়েকদিন আগে লা লিগা প্রধানের ইঙ্গিত মিলে যাচ্ছে, রিয়ালেই যাচ্ছেন ফ্রান্স তারকা। তবে ফরাসি তারকার ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার খবর এতটাই চর্চিত যে, কোনো কিছুই যেন আর চেপে রাখা যাচ্ছে না।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে নাকি রিয়ালের সাথে সব অফিশিয়াল চুক্তিপত্রে সাক্ষর করে ফেলেছেন এমবাপে।
এখন শুধু দু-পক্ষের চুক্তির আনুষ্ঠানিকতাই বাকি। পিএসজিতে এমবাপের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এই মাসেই। তবে ক্লাবটি তাকে অনুমতি দিয়েছে তার আগেই নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার। গত কয়েকদিনের বাতাসে ভাসছিল গুঞ্জন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পরই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
সেটা এখনও না এলেও দলবদলের খবরের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ইতালিয়াম সাংবাদিক ফাব্রিজিয়ো রোমানো বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির সব ধারা সম্পন্ন হয়ে গেছে। ঘোষণাটা আসতে পারে এই সপ্তাহেই।
ফাইনালের পর রিয়াল মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম এমবাপের সাথে খেলা নিয়ে বলেছেন, 'এমবাপের সাথে খেলতে পারাটা দারুণ কিছুই হবে।' দলটির অন্য খেলোয়াড়দের মন্তব্য মোটামুটি একই। বিভিন্ন সময়েই খবরে এসেছে যে, রিয়ালের পুরো স্কোয়াডই বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকাকে দলে পেতে উন্মুখ।
এদিকে পিএসজি বরাবরই এমবাপের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে মুখিয়ে ছিল। এজন্য বিভিন্ন সময় এমবাপে এবং তার এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন পিএসজির কর্তা ব্যক্তিরা। এমনকি এমবাপেকে পিএসজিতে ধরে রাখতে এগিয়ে আসেন খোদ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। যদিও পিএসজির কোনো আয়োজনই এমবাপেকে ধরে রাখতে যথেষ্ট ছিল না। বরাবরই নিজের সিদ্ধান্তে অটুট থেকেছেন ফরাসি তারকা।
পিএসজি ছেড়ে এমবাপের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ক্লাবটির মালিক নাসের আল খেলাইফি। খবর, আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টার পর ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী তারকার বেতন-বোনাসই আটকে দিয়েছেন তিনি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপে জানাচ্ছে, এপ্রিল মাসের বেতন দেয়া হয়নি এমবাপেকে। একইসঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে যে বোনাস পাওয়ার কথা ছিল, সেটিও আটকে দিয়েছে ক্লাবটি। তাতে আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়েছেন ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বজয়ী তারকা।