স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনার হাত ধরে ফুটবল বিশ্বে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার ট্রায়ালেই ক্লাবের নীতিনির্ধারকদের নজর কাড়েন ক্ষুদে এই ফুটবলার।
এরপর ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হঠাৎ বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ জানালেন। সেখানেই বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল লিওনেল মেসির।
সেদিন রেস্তোরাঁর সামান্য এক টুকরো ন্যাপকিন পেপারে (হাত ও মুখ মোছার কাগজ) প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছিল বার্সেলোনা ও ক্ষুদে মেসির। সেই ‘ন্যাপকিন পেপার’ এতদিন ছিল বার্সার মিউজিয়ামে।
মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তির সেই ন্যাপকিনটি এবার নিলামে উঠেছে। যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশী টাকায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
কাতার বিশ্বকাপে যে জার্সি পরে খেলেছিলেন মেসি, তা নিলামে উঠেছিল। বিপুল অর্থে বিক্রি হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার ৬টা জার্সি। ন্যাপকিন চুক্তির দাম আরও বেশি হবে সেটিই স্বাভাবিক, হয়েছেও তাই।
শুক্রবার ব্রিটিশ অকশন হাউস বোনহামসের মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেল সেই মেসি-বার্সেলোনার ঐতিহাসিক প্রথম চুক্তির প্রমাণপত্র। দাম উঠেছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশ মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০১ টাকা।
বার্সেলোনার হয়ে টানা ১৭ বছর খেলেছেন মেসি। ৭৭৮টি ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেন ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা এই ফুটবলার। জিতেছেন ১০টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
এখনও ক্লাবের সমর্থকরা ভুলতে পারেনি তাকে। প্যারিস ঘুরে এখন ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।