আরাধ্য ৫-০ স্বাদ পাওয়া হলো না বাংলাদেশের। আরো একবার খুব কাছে দিয়ে হাতছাড়া হলো এই অর্জন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে হেরে যাওয়ায় অপেক্ষা বাড়লো ইতিহাস গড়ার। সেই সাথে বিশ্বকাপের আগে এমন হার কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ।
কেননা ব্যাটারদের সবাই মোটামুটি ভালো করলেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে। বিশ্বকাপে তারা যেন নিজেদের ফিরে পান, সেজন্য দোয়া করা ছাড়া আর উপায় দেখছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে লিটন-শান্তর ফর্ম প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, বিশ্বমঞ্চে শীর্ষ ব্যাটারদের সেরা ছন্দে দেখার আশা তার। “(ওপেনিংয়ে) এখানে কাকে খেলাবে, তাতো বলতে পারি না। তবে দোয়া করতে পারি যাতে ওরা যেন ফর্মে ফেরত আসে। শান্ত, লিটন অথবা সৌম্য যেন ওদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে। তানজিদ তামিম যে সাহস করে খেলে যাচ্ছে, ফ্রি ফ্লোয়িং ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে, এভাবে যদি খেলতে পারি, তাহলে আমরা আশা করতে সামনে ভালো হবে। (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) এখানটায় ভালো হয়নি।”
এই সিরিজে একমাত্র ওপেনার হিসেবে সবগুলো ম্যাচ খেলা তানজিদ দুটি ফিফটি করেছেন। চতুর্থ ম্যাচে সৌম্য সরকারের সাথে গড়েন ১০১ রানের জুটি। ইনিংসের শুরুতে দ্রুত রান করে দেওয়ার কাজটা বেশ ভালোই সামলেছেন তানজিদ। আর চোট কাটিয়ে ফেরা সৌম্য শেষ দুই ম্যাচ খেলে করেন যথাক্রমে ৪১ ও ৭। বিশ্বকাপ শুরুর এক মাসেরও কম সময় এই তিনজনের মধ্যে কোন দুজন ওপেন করবেন, তা নিশ্চিত নয়। তবে পাপন কিছুটা এগিয়ে রাখলেন তানজিদকে। “ওপেনার আছেই তিন জন। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, তানজিদ তামিমের এপ্রোচটা ভালো। টি-টোয়েন্টিতে এই এপ্রোচটা ভালো। ও যে এখনই খুব ভালো খেলোয়াড় হয়ে গেছে, তা না। তবে ও ভালো করেছে। লিটন দাসকে আমরা মনে করি সব ফরম্যাটে আমাদের ভালো একটা ব্যাটসম্যান। তবে আমরা এটাও জানি, ওর একটা খারাপ সময় যাচ্ছে এবং এই সিরিজে সে ভালো করেনি। আর সৌম্য সরকারের কথা যদি বলেন, তাহলে ওই পজিশনে অন্য কাউকে নেওয়ার অবস্থা যে আমাদের আছে, তা নয়। এই মুহূর্তে সেও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান।”