ছবি: সংগৃহীত
টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, ‘২৪০ রানের উইকেট মনে হচ্ছে।’ অধিনায়কের সেই কথা সত্য প্রমাণ করতেই যেন শুরু থেকে তাণ্ডব চালালেন ট্রাভিস হেড।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের তুলাধুনা করে উপহার দিলেন সেঞ্চুরি। বিধ্বংসী ফিফটি করলেন হাইনরিখ ক্লসেন। শেষ দিকে ঝড় তুললেন এইডেন মারক্রাম ও আব্দুল সামাদ।
তাদের নৈপুণ্যে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামি স্টেডিয়ামে সোমবার ছক্কার বৃষ্টি ঝরান হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। তাতে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করে দলটি।
আইপিএলে এটি সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। চলতি আসরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৭৭ রান করে বেঙ্গালুরুর ১০ বছর পুরোনো ২৬৩ রানের রেকর্ড ভাঙে হায়দরাবাদ।
এবার নিজেদের রেকর্ডই ভাঙল দলটি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নেপালের ৩১৪ রানের ধারেকাছে যেতে পারল না তারা।
তবে এই সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি গড়ল আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
দলটির রান পাহাড় গড়ার পথে ৮ ছক্কা ও ৯ চারে ৪১ বলে ১০২ রানের খুনে ইনিংস খেলেন হেড। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ৩৯ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক, হায়দরাবাদের হয়ে যা দ্রুততম।
৭ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ বলে ৬৭ রান করেন ক্লসেন। দুটি করে ছক্কা-চারে ১৭ বলে ৩২ রান আসে মারক্রামের ব্যাট থেকে।
৩ ছক্কা ও ৪টি চারে ১০ বলে ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন সামাদ। এছাড়া ওপেনার অভিশেক শার্মা করেন দুটি করে ছক্কা-চারে ২২ বলে ৩৪।
এদিন ২২টি ছক্কা মারেন হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। আইপিএলের এক ইনিংসে যা সর্বোচ্চ আগের রেকর্ড ছিল বেঙ্গালুরুর, ২১টি।
ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন হেড ও অভিশেক। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দলটি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই ২০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন হেড।
নবম ওভারে অভিশেকের বিদায়ে ভাঙে তাদের ১০৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।
হেডের সঙ্গে দ্রুত রান বাড়ান ক্লসেনও। তাদের জুটিতে ২৬ বলে আসে ৫৭ রান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে হেড বিদায় নিলেও আরও কিছুক্ষণ খেলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ক্লসেন। দক্ষিণ আফ্রিকান কিপার-ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন ২৩ বলে।
মারক্রামের সঙ্গে ২৭ বলে ৬৬ রানের জুটিতে অগ্রণী ছিলেন ক্লসেনই। পঞ্চাশের পর ক্লসেনের বিদায়ের পর শেষ দিকে বেঙ্গালুরুর বোলারদের যেন কচুকাটা করেন মারক্রাম ও সামাদ। তাদের ১৯ বলের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৫৬ রান।
হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের ঝড়ের বড় ঝাপটাটা যায় রিস টপলি ও বিজায়কুমারের ওপরের দিয়ে।
ইংলিশ পেয়ার টপলি ৬৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। বিজায়কুমার ৬৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
বিষয় : আইপিএল রেকর্ড হায়দ্রাবাদ ছক্কা
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh