কদিন পরেই শেষ হতে যাওয়া বছরের সবশেষ ওয়ানডেটি খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। আগের দিন পরেই শেষ হতে যাওয়া বছরের সবশেষ ওয়ানডেটি খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। আগের দিন নেপিয়ারে হওয়ায় সেই ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে তারা করেছে স্মরণীয় ফল।১৬ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ অন্য দুই সংস্করণ অর্থাৎ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে ভালো খেলে, এই বাস্তবতা চলতি বছর পড়েছে প্রশ্নের মুখে। সব মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে তাদের জয় কেবল ১১টিতে। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা হেরেছে ১৮টি ম্যাচে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছানো বাংলাদেশ ওই প্রতিযোগিতায় জেতে দুটি ম্যাচ। এরপর বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয় তাদের। বড় আশা নিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে গিয়ে তারা হয় অষ্টম, জিততে পারে কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
দলীয় পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ক্রিকেটার দারুণ একটি বছর উপভোগ করেছেন। ২০২৩ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষ পাঁচের বাকি স্থানগুলোতে আছেন যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম (২৯ ম্যাচে ৩৬.৭৮ গড়ে ৮৪৬ রান), সাকিব আল হাসান (২৩ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৭৩৫ রান), তাওহিদ হৃদয় (২৭ ম্যাচে ৩৪.৬১ গড়ে ৭২৭ রান) ও লিটন দাস (২৯ ম্যাচে ২৬.০৪ গড়ে ৬৫১ রান)। তাছাড়া, অন্তত ১০ ম্যাচ খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় অবশ্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
বাংলাদেশের উইকেটশিকারিদের তালিকার সেরা পাঁচের পরের স্থানগুলোতে রয়েছেন যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ (১৮ ম্যাচে ২৫.৩৪ গড়ে ২৬ উইকেট), মেহেদী হাসান মিরাজ (২৭ ম্যাচে ৪২.০৪ গড়ে ২৩ উইকেট), সাকিব (২৩ ম্যাচে ৩৫.৪৭ গড়ে ২৩ উইকেট) ও হাসান মাহমুদ (১৬ ম্যাচে ৩২.১৩ গড়ে ২২ উইকেট)।