ছবি: সংগৃহীত
নাজমুল হাসান শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয়ের পথে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাকালেন বাংলাদেশ দলের কাপ্তান শান্ত। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। জয়ের বন্দরে যেতে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন মাত্র ২৫ রান।
এর আগে, তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরেছে বাংলাদেশ। বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
ইনিংসের প্রথম বলেই লিটন দাস বিদায় নেন। দিলশান মাদুশাঙ্কার করা প্রথম বলেই বোল্ড হন লিটন। যার ফলে রানের খাতা খোলার আগেই নেই বাংলাদেশের এক উইকেট। লিটনের পর বেশিক্ষণ টেকেননি আরেক ওপেনার সৌম্যও। মাদুশঙ্কার শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন সৌম্য, টপ-এজে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন তিনি। ১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকেই হারায় বাংলাদেশ। এরপর হৃদয় ও অধিনায়ক শান্ত মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা চালালেও ভুল শট খেলে প্রমোদ মাদুশানের বলে বোল্ড হন তিনি। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২.২ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৪ রান।
এদিন টস জিতে দারুণ শুরু পায় সফরকারীরা। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৭১ রান তুলে ফেলা লঙ্কানরা ম্যাচে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের মনে ছিল অন্য ভাবনা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেটের খোজে থাকা দলকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেন তিনি। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে (৩৩) কট বিহাইন্ড বানান তরুণ এই পেসার। আভিস্কার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও ফেরেন দ্রুতই। তিনিও তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন। ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন তিনি।
চমক বাকি ছিল আরও। ত্রাস হয়ে ওঠা সাকিব নিজের করা পরের ওভারে ফেরান সাদিরা সামারাবিক্রমাকে। মাত্র ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সামারাবিক্রমা। টানা তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানরা আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিসের সতর্ক ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেন। তাদের দুজনের ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন আবার লঙ্কানদের হাতে যেতে থাকে তখনই মিরাজের আঘাত। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেন তিনি।
এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর সেরা খেলোয়াড় কুশাল মেন্ডিস ওয়ানডেতেও ভালো করেন। অর্ধশতক করা এই লঙ্কান অধিনায়ক ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছিলেন। লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি পৌঁছে যায় অর্ধশতকে। তবে সময়মত জ্বলে ওঠেন তাসকিন। ৭৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান করে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন কুশাল মেন্ডিস।
উইকেটে এসেই তাসকিন আহমেদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। তবে ১৩ রান করেই ফিরেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। পরের ওভারে মাহেশ থিকসানাকেও ফেরান তাসকিন। আর ৬৯ বলে ৩ চার ২ ছয়ে ৬৭ রান করে শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন লিয়ানাগে। শেষ দুই ব্যাটার হিসেবে প্রমোদ মাদুশান ও দিলশান মাদুশাঙ্কার উইকেটও নেন শরিফুল।
তানজিম সাকিব ৮.৪ ওভারে ৪৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে ৬০ রান ও ৯.৫ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন ও শরিফুলও। বাকি উইকেটটি মেহেদী মিরাজের দখলে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh