শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেই একাদশে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সিলেটে তিন ম্যাচেই তিনি গড়ে ১০ এর ওপরে রান দিয়েছেন। স্লগে তাকে বিশেষজ্ঞ বোলার বলা হলেও রান আটকাতে পারেননি তিনি।
সিলেটে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ। পরের ম্যাচে ৪ ওভারে সমান রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৪৭ রান দিয়ে কেবল একটি উইকেট পান। তার হাত থেকে সেই কাটার কিংবা স্লোয়ার দেখা যায়নি। মুস্তাফিজ সর্বশেষ কবে নিঁখুত ইয়র্কার করেছেন তাও ক্রিকেট ভক্তদের ভুলে যাওয়ার কথা।
টি-২০ সিরিজে প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজকে। তার জায়গায় একাদশে ঢুকে তানজিম হাসান সাকিব দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। লঙ্কানদের প্রথম তিন উইকেটই নেন তিনি।
মুস্তাফিজের ওয়ানডে বোলিং পারফরম্যান্সও পক্ষে কথা বলে না। নিউজিল্যান্ডে দুটি ওয়ানডে খেলে তিনি ভালো করতে পারেননি। একটিতে ৬ ওভারে ৪৭ রান দেন। অন্যটিতে ৭.৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে ৯৮ রানে অলআউট হয় কিউইরা। অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ রানই ব্ল্যাক ক্যাপসরা ফিজের বলে নেন।
বিশ্বকাপে ভারতের উইকেটে মুস্তাফিজ কার্যকর হবেন ভাবা হয়েছিল। অথচ ৮ ম্যাচে তিনি মাত্র ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। মাত্র ২ ম্যাচে নিজের ১০ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করতে পেরেছিলেন। ওই হিসেবে মুস্তাফিজের এই বাদ কিংবা বিশ্রাম পাওনাই ছিল।