ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে টি-২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে সফরকারীদের হারিয়ে শুভ সূচনা করতে মুখিয়ে আছে টিম টাইগার্স। সেই লক্ষ্যে অবশ্য শুরুটা তুলনামূলক ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে পেসারদের নৈপুন্যে লঙ্কানদের ২৫৫ রানে থামিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারীরা শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হলেও তানজিম সাকিবের তোপের পর বাকি বোলাররাও জ্বলে ওঠায় লঙ্কানদের নাগালের মধ্যেই রেখেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের পক্ষে তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম নেন তিনটি করে উইকেট। লঙ্কানদের পক্ষে কুোল মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগে অর্ধশতক করেন।
এদিন টস জিতে দারুণ শুরু পায় সফরকারীরা। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৭১ রান তুলে ফেলা লঙ্কানরা ম্যাচে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের মনে ছিল অন্য ভাবনা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেটের খোজে থাকা দলকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেন তিনি। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে (৩৩) কট বিহাইন্ড বানান তরুণ এই পেসার।
আভিস্কার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও ফেরেন দ্রুতই। তিনিও তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন । ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন তিনি।
চমক বাকি ছিল আরও। ত্রাস হয়ে ওঠা সাকিব নিজের করা পরের ওভারে ফেরান সাদিরা সামারাবিক্রমাকে। মাত্র ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সামারাবিক্রমা।
টানা তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানরা আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিসের সতর্ক ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেন। তাদের দুজনের ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন আবার লঙ্কানদের হাতে যেতে থাকে তখনই মিরাজের আঘাত। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেন তিনি।
এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর সেরা খেলোয়াড় কুশাল মেন্ডিস ওয়ানডেতেও ভালো করেন। অর্ধশতক করা এই লঙ্কান অধিনায়ক ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছিলেন। লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি পৌঁছে যায় অর্ধশতকে। তবে সময়মত জ্বলে ওঠেন তাসকিন। ৭৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান করে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন কুশাল মেন্ডিস।
উইকেটে এসেই তাসকিন আহমেদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। তবে ১৩ রান করেই ফিরেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। পরের ওভারে মাহেশ থিকসানাকেও ফেরান তাসকিন। আর ৬৯ বলে ৩ চার ২ ছয়ে ৬৭ রান করে শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন লিয়ানাগে।
শেষ দুই ব্যাটার হিসেবে প্রমোদ মাদুশান ও দিলশান মাদুশাঙ্কার উইকেটও নেন শরিফুল। তানজিম সাকিব ৮.৪ ওভারে ৪৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে ৬০ রান ও ৯.৫ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন ও শরিফুলও। বাকি উইকেটটি মেহেদী মিরাজের দখলে যায়।
বিষয় : বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা টি-টোয়েন্টি T20
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh