লিওনেল মেসির আগমন উপলক্ষে ফুটবলীয় উন্মাদনায় জেগে উঠেছিল হংকং। মেসিকে একনজর দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন হংকংবাসী।
গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) মেসির খেলা দেখতে হংকং স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন ৩৮ হাজারের বেশি দর্শক। মেসির খেলা দেখতে টিকিটপ্রতি তাঁরা গড়ে ন্যূনতম ১২৫ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা) বেশি খরচ করেছিলেন।
তবে এই অপেক্ষা শেষ পর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়। যাঁর জন্য এত আয়োজন, সেই মেসিকে মাঠেই নামাননি ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণেই মূলত মাঠে নামা হয়নি মেসির। ৪–১ গোলে মায়ামির জেতা ম্যাচে তিনি বেঞ্চে বসে ছিলেন।
তবে মাঠে উপস্থিত দর্শকেরা মেসির খেলা দেখতে না পাওয়ার হতাশা গোপন করেননি। টিকিটের মূল্য ফেরত চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ‘রিফান্ড’ বলে দুয়োও দেন দর্শকেরা। এমনকি ম্যাচের পর মায়ামির অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহামকেও শুনতে হয় দুয়ো। পরিস্থিতি আরেকটু জটিল হয়েছে মেসিকে নিয়ে হংকংয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী কেভিন ইয়েউংয়ের মন্তব্যে। তাঁর দাবি, হংকং লিগ একাদশের বিপক্ষে প্রাক্–মৌসুম প্রস্তুতির এই ম্যাচে মেসি অন্তত ৪৫ মিনিট খেলবেন বলে চুক্তি হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কেভিন জানিয়েছেন, ম্যাচটির সঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন, তাঁরা বারবার মেসির খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে তাঁরা মেসির চোটের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। কেভিন বলেছেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অন্য উপায় বের করার অনুরোধ করি। যেমন মাঠে নেমে সমর্থকদের সঙ্গে মেসির ভাব আদান–প্রদান এবং ট্রফি গ্রহণ করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপনারা সবাই দেখেছেন যে এমনটা হয়নি।’