ফাইল ছবি
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে এলে ম্যাচের আলোচনার সঙ্গে যোগ হয় ম্যাচের বাইরের প্রসঙ্গও। আজ যেমন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা সালাউদ্দিনের কাছে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ে ফেরার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
কদিন আগে সাকিবের ব্যাটিং অনুশীলনে সহায়তা করেছেন সালাউদ্দিন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২ নম্বর মাঠে সাকিবের নেট সেশনের পর তাঁকে কেমন দেখলেন সালাউদ্দিন? এ নিয়েই ছিল সাংবাদিকদের কৌতূহল। সালাউদ্দিন অবশ্য দুজনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমে বলতে চাননি
সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি আর সাকিব কথা বললে বেশির ভাগ ক্রিকেটের বাইরের কথাই বলি। খুব কম আমরা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি। আমরা সব সময় আমাদের সমস্যা কী, আমাদের সমাধান কী, সেটা নিয়ে চিন্তা করি বেশি। ক্রিকেট নিয়ে খুব কম কথা হয়। যে কথাগুলো হয়েছে, সেগুলো আসলে আমার খোলাসা করা উচিত হবে না।’
তবে সাকিব ব্যাটিংয়ে ফিরতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘সে যদি না-ই ফিরতে পারে, তাহলে তো ক্রিকেট খেলবে না। সে ফিরতে পারবে বলেই এখনো মাঠে আছে বলে আমি মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গও এসেছে। জাতীয় দলের সাবেক এই সহকারী কোচকে অবশ্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মনে হলো না, ‘আরেকটু ভালো করা উচিত। কারণ, এ ধরনের উইকেটে আমাদের খেলার অভ্যাস আছে। আমরা যদি উইকেটের দোষ দেই, তখন আমি মনে করি, বড় সমস্যা আছে। আমি সব সময় মনে করি, উইকেট যদি ১২০ রানের হয়, তাহলে তুমি ১২০ রানের মতো খেলো। উইকেট ২০০ রানের হলে ২০০–এর মতো খেলো। যদিও আমি মনে করি, আমাদের ৯০ শতাংশ ছেলেরই সেই পরিণতবোধটা আসেনি। সেটা কবে হবে আমি জানি না। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে তারা হয়তো এটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।’
ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সালাউদ্দিন, ‘তারা যদি চেষ্টা করে, তাহলে হয়তো আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠবে। অনেক সময় উইকেট খারাপ দেখলে দ্রুত নেতিবাচক মানসিকতায় চলে যায় বেশির ভাগ ছেলে। সেটাকে ইতিবাচকভাবে কীভাবে দেখতে হয়, সেটা তারা দেখতে পারে না। তার দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ, এখানেও শিক্ষার ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে আমিও খুব হতাশ।
বিপিএলের বাইরে আর কোনো টি-টোয়েন্টি লিগ না থাকাকে এর একটা কারণ মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলি মাত্র একটাই। ধরুন ১১টি ম্যাচ। যারা (পয়েন্ট তালিকার) ওপরে যাবে, তারা ১২টা ম্যাচ খেলবে। এর ওপরেই তার শিক্ষা। এর বাইরে তো কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নেই। একটা লোকাল টি-টোয়েন্টি হলে সেখান থেকে হয়তো শিখে আসত। এখন তাদের বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে। অনেক চাপের মধ্যে খেলতে হচ্ছে। সে তো ভুল করবেই। ভুল করাটাই স্বাভাবিক। যদি আরও বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলত, তাহলে ছেলেরা অনেক ভালো হতে পারত।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh