সিলেটে রান হবে, এমন প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয়েছিল বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। গতকাল প্রথম দিনে চায়ের দেশে খুব একটা রানের দেখা মেলেনি। তবে, আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচেই রানের পাহাড়ে চড়লো বন্দরনগরীর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোর দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে তুষার ইমরানের শিষ্যরা।
আভিস্কা একাই করেছেন ৯১ রান। শেষদিকে অবশ্য রানটাকে দুইশ এর কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। ৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে দিয়েছে শক্ত ভিত। আলো ছড়িয়েছেন এবারের বিপিএলে প্রথমবার ডাক পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপু। ৩১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
সিলেটের পিচে চট্টগ্রাম ঝড় তুলবে, এমনটা বোঝা গিয়েছিল প্রথম ওভারেই। তাইজুল ইসলামের প্রথম ওভার থেকেই এসেছে তিন চার। যদিও তানজিদ হাসান তামিম আবারও ব্যর্থ হয়েছেন নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে। সেই ১২ রানেই ফিরে যান তিনি। উইকেটরক্ষক ইমরানউযজামানও ব্যর্থ হয়েছেন। ফিরেছেন ৪ রানে। উইকেট শিকারী সেই তাইজুল।
তবে চট্টগ্রাম রান তোলা থামায়নি। শাহাদাত দিপু কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও আভিস্কা ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৬ ওভারে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৫০ রান। মাঝের ওভারে কিছুটা লাগাম অবশ্য টেনে নিয়েছিল বরিশালের বোলাররা। তবে সেটাও খুব বেশি সন্তোষজনক ছিল না। ৭ থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত চট্টগ্রাম রান তুলেছে ৫৯। ওভারপ্রতি প্রায় ৬ করে রান উঠেছে।
তবে ঝড় উঠেছে শেষের ৪ ওভারে। ১৬ থেকে ২০, এই চার ওভারে চট্টগ্রাম তুলেছে ৮৪ রান। দিপুর পর চট্টগ্রামের বড় ভরসা নাজিবউল্লাহ জাদরানও নিজের স্কোর বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৮ করে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে তাইজুলের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়েছেন তিনি।
তবে অপরপাশে আভিস্কার ঝড় চলেছে পুরোদমে। সেঞ্চুরিটা হয়ত পেয়েই যেতেন। তবে নাজিবউল্লাহর আউটের পর তিনি খেলেছেন মোটে ২ বল। সেঞ্চুরির পথে থাকলেও ৯১ রানেই আটকে গিয়েছিলেন তিনি।
আর ক্রিজে নেমেই কার্টিস ক্যাম্ফার তুলেছেন ঝড়। ৩ চার আর ২ ছয়ে করেছেন ২৯ রান। তাতেই বরিশালের বিপক্ষে চট্টগ্রামের রান হলো ১৯৩।