প্রতিবারের মতো এবারও মৌসুমের মাঝপথে খেই হারিয়েছিল আর্সেনাল। টানা তিন ম্যাচে জয়হীন ছিল মাইকেল আর্তেতার দলটি, যার মধ্যে দুটিতেই হার। অবশেষে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে অনেক পিছিয়ে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে তারা জয়ের দেখা পেয়েছে।
দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে এদিন প্যালেসের জালে রীতিমতো গোল উৎসব করেছে গানাররা। জয় পেয়েছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে।
গতকাল (শনিবার) এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচের মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। যেখানে সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে দাপট ছিল আর্সেনালের। সে ধারাবাহিকতায় তাদের গোলের দেখা পেতেও বেশি বেগ পেতে হয়নি। গানারদের হয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি দুটি, সেন্টারব্যাক গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েস ও লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ড একটি করে গোল করেন।
ম্যাচের মাত্র একাদশ মিনিটে আর্সেনালকে লিড এনে দেন মাগালহায়েস। ডেকলান রাইসের কর্নার থেকে জটলার ভেতর থেকে হেডে দলকে এগিয়ে দেন এই ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক। ৩৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আর্সেনাল। তবে এবার প্যালেসের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনের আত্মঘাতী গোলে। বুকায়ো সাকার কর্নার ফেরাতে গিয়ে বল তার মাথায় লেগে ঢুকে যায় নিজেদের জালে। ফলে দ্বিগুণ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্তেতার শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। গোলের ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিতে ৫৯ মিনিটে ভূমিকা রাখেন লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ড। হেসেখেলে সেই ব্যবধান নিয়েই যখন তারা শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় তখনই ট্রোসার্ডের পরিবর্তে ৬৯ মিনিটে বদলি নামা গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির ঝলক। আর্সেনালের শেষ দুটি গোল এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের করা। তাও একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগ করা চতুর্থ ও পঞ্চম মিনিটে। আরও কিছুক্ষণ সময় পেলে মার্টিনেল্লি হ্যাটট্রিক করত বলে মনে করেন তার স্বদেশি মাগালহায়েস।
ম্যাচে শেষে আর্সেনালের এই সেন্টারব্যাক বলেন, ‘দলের হয়ে গোল করতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি মনে করি, আর এক মিনিট সময় পেলে সে তিন গোল করত।’ আর মার্টিনেল্লির ভাষ্য— ‘দলের জন্য আমি খুবই আনন্দিত। আমার মনে হয়, আমাদের এমন পারফরম্যান্সই দরকার। যদি এক, দুই বা তিন মিনিটও খেলি, আমি দলের সাহায্যের জন্য আছি।’