পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল অবশেষে সেনেগালের কাছে তাদের পুরোনো হারের প্রতিশোধ নিল। লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে 'তেরাঙ্গার সিংহ'দের ২-০ গোলে পরাজিত করে দুই বছর আগের ৪-২ ব্যবধানে হারের মধুর শোধ তুলল তারা। এই জয়ের মাধ্যমে আফ্রিকান দলগুলোর বিপক্ষে ব্রাজিলের সাম্প্রতিক 'জু-জু'ও দূর হলো।
-6918da7339285.jpg)
ব্রাজিলের প্রথম গোলটি করছেন এস্তেভাও। রয়টার্স
কার্লো আনচেলত্তির দল শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এস্তেভাও, মাতেউস কুনিয়া, রদ্রিগো এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়ে গড়া আক্রমণের ঝড় প্রথমার্ধজুড়েই সেনেগালের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে।
এগিয়ে যেতে পারত ১৭ মিনিটেই, কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড কুনিয়ার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তবে লিড নিতে বেশি সময় লাগেনি। ২৮তম মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন কিশোর প্রতিভা এস্তেভাও। চেলসির এই তরুণ ফরোয়ার্ডের পেনাল্টি বক্সের ডান পাশ থেকে নেওয়া নিখুঁত শট সেনেগালের গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দিকে পরাস্ত করে দূরের পোস্টে জড়িয়ে যায়। ব্রাজিলের হয়ে ১০ ম্যাচে এটি তাঁর চতুর্থ গোল, যা আগামী বছরের বিশ্বকাপে তাঁর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় নেননি অধিনায়ক কাসেমিরো। ৩৫তম মিনিটে রদ্রিগোর নেওয়া ফ্রি-কিক দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফাঁকা জায়গা থেকে বাঁকানো শটে গোল করেন এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার। তাঁর শট সরাসরি জালের উঁচু কোণে জড়িয়ে যায়।

ব্রাজিলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেওয়ার পর কাসেমিরো। রয়টার্স
দ্বিতীয়ার্ধে সেনেগালের ইলিমান এনদিয়ায়ে ব্রাজিলের রক্ষণ ও গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলের সুযোগ নিয়ে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। সেনেগালের প্রধান তারকা, দুইবারের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার সাদিও মানে এদিন খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৭৫ মিনিটে তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়।
এই জয় ব্রাজিলকে আগামী বছরের কানাডা-মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাবে, যেখানে তারা দক্ষিণ আমেরিকা বাছাইয়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করে টিকিট নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালের আফ্রিকা কাপ চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল গত মাসে মৌরিতানিয়াকে হারিয়ে তাদের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে।