অনুমিত চিত্রনাট্যের মঞ্চায়নই দেখা গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে। বোর্ড পরিচালকের পদে লড়াইয়ে বড় কোনো চমক না থাকলেও, বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে আবার এলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। টানা তিনবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নাজমুল হাসান পাপনের ধারা বজায় রেখে এবারও সভাপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবারের (৫ অক্টোবর) নির্বাচনে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসেবে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এরপরই সভাপতি পদের লড়াইয়ে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াননি আর কেউ। ফলে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার ২০তম প্রধান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ৩০ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নেও তিনি পরিচালক হওয়ার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হয়েছিলেন।

সভাপতি পদের মতো সহ-সভাপতির দুটি পদেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ ও শাখাওয়াত হোসেন।

এর মধ্যে ফারুক আহমেদ চার মাস আগে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের পর বিসিবি সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগও করেছিলেন। সেই ফারুকই এবার বোর্ডের বড় দায়িত্ব পেলেন।

অন্যদিকে, শাখাওয়াত হোসেন সবশেষ বোর্ডে বিসিবি সভাপতির পর্যটন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। বরিশাল বিভাগের পরিচালক ও ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এই কাউন্সিলর ক্রীড়া উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ বলে ক্রিকেট অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে, এবারের পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি ঘিরে ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রবল প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে বারবার। অভিযোগের তীর ছিল সরকারি হস্তক্ষেপ ও বিভিন্ন অনিয়মের দিকে।

'নির্বাচন ফিক্সিংয়ের' অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। এছাড়া নির্বাচনে সরকারের 'নগ্ন হস্তক্ষেপ', নানারকম অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মোট ২১ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এই বিতর্কের আবহের মধ্যেই শেষ হলো দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার নির্বাচন।