× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বিসিবি নির্বাচন

১৫ ক্লাবের অন্তর্ভুক্তিতে স্থগিতাদেশ, ভোট বর্জনের হুমকি ঢাকার ক্লাবগুলোর

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ এএম । আপডেটঃ ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ এএম

ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আবারও বিতর্কের মুখে। আগামী ৬ অক্টোবরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন সভাপতি ফারুক আহমেদের রিট পিটিশনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট ১৫টি ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনেক ক্লাব কাউন্সিলর তাদের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকিও দিয়েছেন।

ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র হওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটনা তিন-চারবার ঘটল। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি অনুমোদন করেছিল, তবুও বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।" তিনি আরও যোগ করেন, এই রিটের পেছনে মূল কারণ হলো— নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা।

বাবু নিশ্চিত করেন যে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা মঙ্গলবার রাতে ৭৬টি ক্লাবের সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই বৈঠকের পরই নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা আসতে পারে। তিনি বলেন, "আমরা সম্মিলিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আজ রাতে আমাদের বৈঠক আছে। এই ঘটনায় সবাই ক্ষুব্ধ এবং আমার মনে হয় সবাই নির্বাচন থেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।"

জানা গেছে, এই নতুন মোড় আসে মূলত সোমবার রাতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এবং তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়ায়। এর ফলস্বরূপ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর তদন্তাধীন থাকা ১৫টি ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে ফারুক আহমেদ রিট পিটিশন দায়ের করেন।

ভেতরের খবর অনুযায়ী, এই ১৫টি ক্লাবই তামিম-নেতৃত্বাধীন প্যানেলের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এই ক্লাবগুলো খসড়া তালিকায় অনুপস্থিত থাকলেও, পরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছিল।

এই স্থগিতাদেশের ফলে অ্যাক্সিওম ক্রিকেটার্সের ইসরাফিল খসরু এবং ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমির ইফতেখার রহমান মিঠুও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তারা দুজনেই ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন, যেখান থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্সিলর জানান, বিপরীত প্যানেল ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে তিন থেকে পাঁচজন পরিচালক পেতে চেয়েছিল, কিন্তু তামিম পুরো প্যানেল নিয়ে লড়তে চাওয়ায় সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।

এদিকে, পরিচালক পদের জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামানও তার মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, "আমার ভালো লাগছে না এবং আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, এরপর আমার মনে হয় না এটি ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, তাই আমি হয়তো নির্বাচনে অংশ নেব না। গত দেড় মাস ধরে যা হচ্ছে, তা এখনও চলছে।"

মাসুদুজ্জামান আরও যোগ করেন, "দেখুন, ১৫টি ক্লাবকে প্রথমে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল, তারপর সেটা চ্যালেঞ্জ করা হলো এবং এখন তাদের বাতিল করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য কোনো ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমরা অপমানিত হতে আসিনি। তাই আমার মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।"

এদিকে, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা বুধবার দুপুর ২টায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এর আগে অনুমোদিত মনোনীত প্রার্থীরা একই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। ১৫টি ক্লাবকে বাদ দেওয়ার ঘটনা নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলল।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.