 
												ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনাকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ছবি: রয়টার্স
প্রত্যাশিত জয় দিয়ে লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল বার্সেলোনা। রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামাল ও ফেররান তরেসের গোলে ৯ জনের মায়োর্কাকে সহজেই হারাল হান্সি ফ্লিকের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার ৩-০ গোলে জিতল বার্সেলোনা। ২০০৯ সালের পর কাতালান ক্লাবটিকে হারাতে না পারা মায়োর্কা এবারও তেমন একটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারল না।
রাফিনিয়া শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরেস। আগের দুটি গোলে ভূমিকা রাখা ইয়ামাল জালের দেখা পান যোগ করা সময়ে।
একটু ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডান দিকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইয়ামালের চমৎকার ক্রসে সুযোগ পেয়ে যান রাফিনিয়া। দূরের পোস্টে ছুটে গিয়ে অরক্ষিত ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গতিময় হেডে অনায়াসে খুঁজে নেন জাল। তেমন কিছু করার ছিল না মায়োর্কা গোলরক্ষকের।
গত মৌসুমে ১৮ গোল করেছিলেন রাফিনিয়া, এবার দলের প্রথম গোলটি করলেন তিনি।
২১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভেদাত মুরিচি। খুব কাছ থেকেও তিনি শট নেন গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া বরাবর।
পরের মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের গতিময় শট হেড করে ফেরানোর পর মাটিতে শুয়ে পড়েন মায়োর্কা অধিনায়ক আন্তোনিও রাইয়ো। খেলা বন্ধের ইশারা করেননি রেফারি। স্বাগতিক খেলোয়াড়রা বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে যান তরেস। ঠাণ্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।
খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় খেলা বন্ধ না করায় বেশ চটে যান মায়োর্কা কোচ হাগোবা আরাসতে। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দেখেন হলুদ কার্ড।
৩৩তম মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় মায়োর্কা। ইয়ামালকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মানু মোর্লানেস।
ছয় মিনিট পর সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মুরিচি। বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে অনেক উপরে পা তুলে ফেলেন কসোভোর এই ফরোয়ার্ড। বুট লাগে বার্সেলোনা গোলরক্ষকের মুখে! শুরুতে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি, পরে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন লাল কার্ড।
৯ জনের দলে পরিণত হওয়ায় রক্ষণে অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে মায়োর্কা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আরও পিছিয়ে পড়তে পারত তারা। ইয়ামালের জোরাল শট বেরিয়ে যায় কাছের পোস্ট ঘেঁষে। চার মিনিট পর তরুণ এই ফরোয়ার্ড দূরের পোস্টেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
ঘটনাবহুল প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে লাল কার্ড দেখতে পারতেন রাফিনিয়া। পেছন থেকে মাতেও মোরেয়কে বেপরোয়াভাবে ফাউল করেন তিনি। স্বাগতিকদের জোরাল দাবির মুখেও লাল কার্ড না দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকে মায়োর্কার রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে বার্সেলোনা। প্রথম পাঁচ মিনিটে গোলের তিনটি সুযোগও পায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ইয়ামাল, তরেসরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি।
৫৮তম মিনিটে দানি ওলমোর হেড গোললাইন থেকে কোনোমতে এক হাতে ফিরিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। পরের মিনিটে রাফিনিয়ার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ছুঁয়ে।
৬৯তম মিনিটে রাফিনিয়ার কাটব্যাকে ওলমোর শট ব্যর্থ হয় কাছের পোস্টে লেগে। নষ্ট হয় ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি দারুণ সুযোগ। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক বরারব হেড করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া।
এরপরই বদলি নামেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে নিজের অভিষেকে তেমন কিছু করতে পারেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৮৫তম মিনিটে গাভির গতিময় শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ইয়ামালের দুটি শট ঠেকান তিনি।
ম্যাচের শেষ শটে জালের দেখা পান এই মৌসুমেই বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সি পাওয়া ইয়ামাল। কাট করে ভেতরে ঢুকে পেরিয়ে যান দুই ডিফেন্ডারকে। জায়গা করে বাম পায়ের বাঁকানো শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। নতুন মৌসুম তিনি শুরু করলেন নিজের ট্রেড মার্ক গোলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
