জেমি স্মিথ | ছবি—সংগৃহীত
নিজের আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছিল অল্পের জন্য। এবার আর ভুল করলেন না জেমি স্মিথ। টেস্ট ক্যারিয়ারে দারুণ পথচলায় প্রথমবার তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন তরুণ কিপার-ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড পেল শতরান ছাড়ানো লিড। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও কামিন্দু মেন্ডিসের ফিফটিতে পাল্টা লড়াই করলেও হারের শঙ্কায় আছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যানচেস্টারে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৪ রান। ১২২ রানের ঘাটতি পুষিয়ে এগিয়ে আছে তারা কেবল ৮২ রানে।
আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে শুক্রবার ইংল্যান্ড যোগ করে আরও ৯৯ রান। তাদের প্রথম ইনিংস থামে ৩৫৮ রানে।
১৪৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ১১১ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী উইকেটকিপার হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি, ২৪ বছর ৪২ দিন। ভেঙে দেন ৯৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল লেস অ্যামেসের, ১৯৩০ সালে পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২৪ বছর ৬৩ দিন বয়সে।
ক্যারিয়ারে প্রথম পাঁচ ইনিংসেই দুই ফিফটির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল স্মিথের।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৭২ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্মিথ দলকে এগিয়ে নেন গাস অ্যাটকিনসনকে সঙ্গে নিয়ে। দুজনে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ জুটি।
নিজের আগের টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৫ রানে আউট হয়েছিলেন স্মিথ। এবার তিনি কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি তুলে নেন ১৩৬ বলে। ওই ওভারেই অ্যাটকিনসনের (৬৫ বলে ২০) বিদায়ে ভাঙে ৬৬ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
খানিক পর স্মিথকে থামান বাঁহাতি স্পিনার প্রাবাথ জায়াসুরিয়া। ম্যাথু পটস (১৭) ও মার্ক উডের (২২) ব্যাটে সাড়ে তিনশ ছাড়ায় ইংল্যান্ড।
১০৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার পেসার আসিথা ফার্নান্দো। জায়াসুরিয়ার শিকার ৩টি।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। নিশান মাদুশকাকে বোল্ড করে দেন ক্রিস ওকস। অ্যাটকিনসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কুসাল মেন্ডিস। দুজনের কেউ পাননি রানের দেখা।
দিমুথ কারুনারাত্নে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি (৩২ বলে ২৭)। ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই তাকে ফিরিয়ে দেন উড। গতিময় এই পেসারের বাউন্সারে বৃদ্ধাঙ্গুলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন দিনেশ চান্দিমাল।
টিকতে পারেননি অধিনায়ক ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তখনও ২৭ রানে পিছিয়ে তারা।
পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন ম্যাথিউস ও কামিন্দু মেন্ডিস। ম্যাথিউস ফিফটি করেন ৮৬ বলে। ৬৫ রানে তার ক্যাচ ফেলেন জো রুট। ৩৯ রানে জীবন পান মেন্ডিস। দুবারই বোলার ছিলেন পটস।
অবশেষে পয়েন্টে পটসের ক্যাচেই ভাঙে ৭৮ রানের জুটি, ম্যাথিউসকে (১৪৫ বলে ৬৫) ফিরিয়ে দেন ওকস। মেন্ডিস ফিফটি পূর্ণ করেন ৯৫ বলে।
নিজের একদশ ওভারে তৃতীয় ডেলিভারির আগে রান আপের সময় অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন উড। ওই ওভারে বল হাতে উইকেটের দেখা পান জো রুট। বেরিয়ে এসে খেলে ক্যাচ তুলে দেন মিলান রাত্নায়েকে।
হাসপাতালে গিয়ে এক্স-রে করিয়ে আঙুলে চিড় না থাকায় আবার ব্যাটিংয়ের ছাড়পত্র পান চান্দিমাল। মেন্ডিসের সঙ্গে দিনের বাকিটা পার করে দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মেন্ডিস অপরাজিত আছেন ৫৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৩৬
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮৫.৩ ওভারে ৩৫৮ (আগের দিন ২৫৯/৬) (স্মিথ ১১১, অ্যাটকিনসন ২০, পটস ১৭, উড ২২, বাশির ৩*; ধানাঞ্জয়া ২-০-১৪-০, জায়াসুরিয়া ৩১-৫-৮৫-৩, আসিথা ১৮-০-১০৩-৪, ভিশ্ব ১৯.৩-১-৭৩-২, রাত্নায়েকে ১৩-০-৬৬-১, কামিন্দু মেন্ডিস ২-০-১৩-০)
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬০ ওভারে ২০৪/৬ (মাদুশকা ০, কারুনারাত্নে ২৭, কুসাল মেন্ডিস ০, ম্যাথিউস ৬৫, চান্দিমাল ২০*, ধানাঞ্জয়া ১১, কামিন্দু মেন্ডিস ৫৬*, রাত্নায়েকে ১০; ওকস ১২-৩-৩৪-২, অ্যাটকিনসন ১০-১-৩৮-১, বাশির ১৬-০-৬১-০, উড ১০.২-১-৩৬-১, পটস ১১-৪-২৬-১, রুট ০.৪-০-১-১)
বিষয় : স্মিথ শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচ রিপোর্ট ইংল্যান্ড
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh