× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শরিকে কোরবানির ক্ষেত্রে গোশত বণ্টনের নিয়ম

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

০৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৮ এএম । আপডেটঃ ০৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৯ এএম

ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই বিধান হালাল উপার্জন থেকে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই আদায় করতে হয়। অন্যথায় কবুল হয় না। কোরবানির গোশত বণ্টনের ক্ষেত্রেও শরিয়তের নির্দেশনা না মানলে এই ইবাদত সওয়াবশূণ্য হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই ইসলামি আইনজ্ঞরা কোরআন-সুন্নাহর আলোকে গোশত বণ্টনের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। শরিকে কোরবানি করলে শরিকদের মধ্যে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা নাজায়েজ। (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৭; কাজিখান: ৩/৩৫১)

পা ও মাথা ভাগের ক্ষেত্রেও মূল বিধান একই। অর্থাৎ সম্ভব হলে কেটেকুটে সমানভাবে ভাগ করবে। আর সমানভাবে বণ্টন সম্ভব না হলে সকলের সন্তুষ্টিক্রমে কমবেশি করে বণ্টনে কোনো সমস্যা নেই। এর বদলে অন্য অঙ্গ থেকে কমবেশি করে নিবে। (দুররুল মুখতার: ৬/৩১৭, কাজিখান: ৩/৩৫১)। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কোরবানির পশু জবাই সম্পন্ন হলেই মূলত কোরবানি শেষ হয়ে যায়। এরপর গোশতটি হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য তোহফাস্বরূপ। এই গোশত একা না খেয়ে গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিয়ে খাওয়া ভালো। তাই কোরবানির গোশত বিতরণের উত্তম পদ্ধতি হলো—এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া। অবশ্য পুরো গোশত যদি কেউ নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪; আলমগিরি: ৫/৩০০)।

কোরবানির পুরো গোশত নিজে রেখে দেওয়ার এখতিয়ার থাকলেও গরিব আত্মীয় ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ না করাটা অনুত্তম এবং এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। অথচ কোরবানির অন্যতম শিক্ষা হলো নিজের পছন্দের জিনিস আল্লাহর জন্য কোরবানি করা। যা কৃপণের বৈশিষ্ট্য নয়। অতএব, একজন মুত্তাকি মুসলমানের জন্য গরিব আত্মীয় ও অসহায়দেরও কোরবানির গোশত দেওয়া উত্তম। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, (মনে রেখো, কোরবানির জন্তুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। (সুরা হজ: ৩৭)। তবে, নিজের প্রয়োজন বেশি হলে বেশি পরিমাণ গোশত নিজের জন্যও রাখতে পারবেন। এমনকি সব গোশত নিজে রেখে দেওয়াও জায়েজ, যা আগেই বলা হয়েছে। তবে, যত বেশি অপরকে দিতে পারবেন ততই আল্লাহ খুশি হবেন।

গরু, মহিষ ও উট এই তিন পশুর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের কমে যেকোনো সংখ্যায়ও শরিক হওয়া যাবে। অর্থাৎ ২, ৩, ৪, ৫ কিংবা ৬ জন মিলেও একটি বড় পশু কোরবানি করতে পারবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির গোশত বণ্টনে শরিয়তের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.