নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখতে কোনো ছাড় নেই। ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার সহ্য করা হবে না। ভোটারের কাছে যিনি যোগ্য প্রার্থী তাকেই ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে আমরা সেই সংস্কৃতি আমরা চালু করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র দখলতো দূরের কথা, যদি ১টা জাল ভোট পড়ে সেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা সামলাতে না পারে পুলিশকে অবহিত করবেন। তারপরেও যদি সমস্যার সমাধান না হনয় কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবে। কালো টাকা, গুন্ডা-পান্ডা, পেশি শক্তির কোনো ছাড় নেই। নির্বাচন কমিশিনের অধীনে পুলিশ প্রশাসন, কমিউিনিটি পুলিশ ভোটারদের মাইকিং করে কেন্দ্রে আসা ও যাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সাজা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। এ জন্য যে সব এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সে জন্য চাহিদানুযায়ী ফোর্স দেওয়া হবে।’

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি শিল্পকলা একডেমি প্রাঙ্গণে বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শপথ নেওয়ার পর থেকে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। উপস্থিত আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন কোনো প্রার্থীর পক্ষে দলীয় মনোভাব পোষণ, অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনো আচরণ না করেন যাতে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

ইসি হাবিব বলেন, কোনো প্রার্থীর বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ তিন জেলার সব প্রার্থীরা।