বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনায় আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী সপ্তাহে আদেশের জন্য দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে থাকা বিচার বিভাগ নিয়ে আলালের ২৫ এপ্রিলের একটি বক্তব্য ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টে উপস্থাপন করেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। ওইদিন শুনানির পর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
পাশাপাশি ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই বক্তব্যের ভিডিও লিংক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আলালকে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন এই বিএনপি নেতা।
এদিন আদালতে আলালের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন নিঃশর্ত ক্ষমা ও অব্যাহতির আবেদনটি লিখিতভাবে দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। শুনানির পর মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন আদালত। তার আগে বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব আদালতকে ইউটিউব থেকে ওই ভিডিও লিংক অপসারণের কথা জানান।