× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

উন্মুক্ত উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবে না এমপি-নেতারা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:৪১ এএম । আপডেটঃ ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৪ এএম

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন হবে উন্মুক্ত- এমন সিদ্ধান্তে অনড় আওয়ামী লীগ। কেন্দ্র থেকে কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগও প্রাথী দিতে পারবে না। দলীয় নেতাদের এমন সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ঠভাবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।  উপজেলা নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে এমপি ও নেতাদের মধ্যে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনে এমন শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় কমিটি স্থানীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশনা দিয়ে বলেছে- উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা এবং জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারবে না। দল থেকেও কাউকে সমর্থন করা যাবে না। তবে স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারবেন। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রংপুরের বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।   

আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন- এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করবে না দল। নির্বাচন হবে উন্মুক্ত, কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। দলের এমন মনোভাবে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে দেশের অনেক উপজেলায় স্বতন্ত্র এমপির ও স্থানীয় নেতারা নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছেন। এতে দলীয় বিভাজন আরও স্পষ্ঠ হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসলো কেন্দ্র থেকে।   

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও এ বিষয়ে তিনি সতর্ক করে দেন সবাইকে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। 

দলীয় সূত্র মতে, জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায় নতুন করে কোন্দল দেখা দিয়েছে। আরও কিছূ উপজেলায় আগে থেকেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যাতে হয় সে ব্যাপারে নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষুন্ন ও হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.