রাজাকারদের তালিকা প্রণয়ন কমিটির প্রধান শাজাহান খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করা রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করার মত অবস্থায় আছে।দেড় শতাধিক উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে করা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, মনে হয় আমরা যা হাতে পেয়েছি তা প্রকাশ করে দেওয়া উচিত। প্রকাশ করার মতো অবস্থায় আমি তৈরি করে রেখেছি।
সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘প্রতিরোধের প্রথম ব্যারিকেড বাঙালির বীরত্বের গৌরবগাঁথা’ শীর্ষক আলোচনায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় ফিরে রাজাকারের তালিকা করার ঘোষণা দিয়েছিল। ২০১৯ সালের বিজয় দিবসের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ তালিকা প্রকাশ করেন।
পরে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা তৈরির সুযোগ রেখে ২০২২ সালের ২৯ অগাস্ট ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ সংসদে পাস হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ফার্মগেট এলাকায় ব্যারিকেডের স্মরণে আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন শাহাজান খান
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি যতটুকু জানি, অদ্যাবধি আমাদের কাছে উনারা তালিকা হ্যান্ডওভার করেননি, হস্তান্তর করেনি। কোনো লিখিত তালিকা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি।
শাজাহান খান বলেন, আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমরা এই তালিকা আংশিক প্রকাশ করব নাকি সম্পূর্ণ প্রকাশ করব। এখন যদি সিদ্ধান্ত হয় এভাবেই প্রকাশ করার, তাহলে এভাবেই প্রকাশ করা যাবে। আমি সেভাবেই তৈরি করে রেখেছি।