সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ও আপিল শেষে এখন দলটির বৈধ প্রার্থী আছে ২৯৩টি আসনে। বাদ পড়েছেন ফরিদপুর-৩ আসনে শামীম হক, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আবদুস সালাম, যশোর-৪ আসনে এনামুল হক (বাবুল), বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহম্মেদ ও কক্সবাজার-১ আসনে সালাহ উদ্দীন আহমদ।
এর মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বৈধ হলেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থিতা হারিয়েছেন শামীম হক, আবদুস সালাম ও এনামুল হক (বাবুল)। শামীম হকের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। সালাম ও এনামুলের প্রার্থিতা বাতিল হয় ঋণখেলাপি হওয়ায়।
অন্যদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। তাঁরা হলেন কক্সবাজার-১ আসনে সালাহ উদ্দীন আহমদ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. নাসিরুল ইসলাম খান, বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহম্মেদ ও নোয়াখালী-৩ আসনে মো. মামুনুর রশীদ (কিরণ)। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তাঁরা সবাই নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন। এর মধ্যে নাসিরুল ইসলাম খান ও মামুনুর রশীদ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। সালাহ উদ্দীন আহমদ ও শাম্মী আহম্মেদের আপিল গতকাল নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে তাঁদের মনোনয়ন বাতিলই রইল।
ঝালকাঠি–১ আসনে আওয়ামী লীগের আলোচিত প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক নেতা শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করা হয়েছিল। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আপিল করেছিলেন। শাহজাহান ওমর হলফনামায় মামলাসংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তবে এই আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বহাল থাকে।