আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য বিদায়ী উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে তার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা জমা দেননি। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর মাহফুজ আলম নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। মূলত নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যেই তিনি উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। গতকাল রোববার তার পক্ষে নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হলে সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়।
তবে আজ বিকেলে তিনি জানান, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে তিনি এই মুহূর্তে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মাহফুজের সহযোদ্ধারা গত ফেব্রুয়ারিতে 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' (এনসিপি) গঠন করেন। শুরুতে দলটিতে তার প্রভাব থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সেই সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এরই মধ্যে গতকাল জামায়াতে ইসলামীসহ ১০টি দলের একটি নির্বাচনী সমঝোতা জোটে এনসিপি যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়। এই জোট থেকে মাহফুজকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে তিনি পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি এনসিপির এই জোটে অংশীদার হচ্ছেন না।
নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল যে, মাহফুজ আলম বিএনপিতে যোগ দিয়ে 'ধানের শীষ' প্রতীক নিয়ে লড়াই করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক সমালোচনা করেও তিনি আলোচনায় ছিলেন। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আপাতত ভোটের মাঠ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন এই তরুণ নেতা।