আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের ভোটার হতে চলেছেন।

আজ রোববার বিকেলে তিনি এই আসনের ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন। সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তায় বলা হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বেলা ৩টায় ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন এবং এই এলাকার ভোটার হবেন।

ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত। পূর্বে আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ভোটার ছিলেন। ওই আসন থেকে তার নির্বাচনের আলোচনাও শোনা গিয়েছিল।

সম্প্রতি গুঞ্জন তৈরি হয় যে, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপি এখনো এই আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জনটি আরও জোরালো হয়। এখন আসিফ মাহমুদের এই আসনে ভোটার হতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সমঝোতা এবং তার সম্ভাব্য প্রার্থিতার গুঞ্জন আরও পাকাপোক্ত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই আসনে জামায়াতে ইসলামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আন্দোলনের সময় তার ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ব্যাপক আলোচিত হয়।

অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত আসিফ মাহমুদ, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।

কুমিল্লার সন্তান আসিফ মাহমুদ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে ২০২৩ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদের একটি অংশের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। তিনি এই ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির অধিকাংশ নেতাই ছিলেন এই ছাত্রশক্তির নেতা।

এছাড়া, তিনি সরকারি দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।