আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এসব নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে দলটির অন্যতম ত্যাগী ও মাঠের নেতা হিসেবে পরিচিত যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নাম সেই তালিকায় নেই। দলের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভেতরে-বাইরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকে বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন হাবিব উন নবী খান সোহেল। বিভিন্ন সময়ে দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেলের বিরুদ্ধে বর্তমানে সারাদেশে সাড়ে চার শতাধিক মামলা রয়েছে—যা তাকে বিএনপির “সর্বাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামি”র অবস্থানে রেখেছে।
তবে এবার মনোনয়নের তালিকায় তার নাম না থাকায় অনেক নেতা-কর্মী বিস্মিত হয়েছেন। দলীয় তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, একজন ‘নির্যাতিত ও ত্যাগী’ নেতার মূল্যায়ন না হওয়া বিএনপির জন্য নেতিবাচক বার্তা হতে পারে।
বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সোহেল ভাই আন্দোলনের দিনগুলোতে মাঠে ছিলেন, আমরা সবাই জানি তার ভূমিকার কথা। এমন একজন নেতাকে বাদ দেওয়া অনেকের কাছেই বেদনাদায়ক।”
হাবিব উন নবী খান সোহেল নিজে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কিছু না বললেও তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি (সোহেল) দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।