জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আজ (শুক্রবার) জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নিলেও যোগ দেননি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। বাম ধারার চারটি রাজনৈতিক দল—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদও অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর কিছু আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও অতিথিরা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত থাকলেও এনসিপি ও চার বাম দলের নেতাদের দেখা মেলেনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, এনসিপি থেকে কেউ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাননি। তারা আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবেন না বলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়।
আজ দুপুরে দলের শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপি'র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, "কিছু রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্যের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি কাগজে সই করছে।"
জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংশোধিত খসড়া না পাওয়ায় বাম ধারার চারটি দল এই অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।
সিপিবি'র সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির আজ বিকেল পাঁচটায় গণমাধ্যমকে বলেন, সিপিবিসহ চার বাম দলের নেতাদের কেউ সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাননি। তিনি বলেন, "আমরা কালই (বৃহস্পতিবার) আমাদের অবস্থান জানিয়েছি।"
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ) সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে।
প্রথম পর্বে ৩৩টি এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। এই আলোচনায় জাতীয় পার্টিকে রাখা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই পর্বের আলোচনায় মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এসবের ভিত্তিতেই জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল জানান, কোনো দল চাইলে পরেও সনদে সই করতে পারবে।
এদিকে, নির্ধারিত সময় বিকেল চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে 'জুলাই যোদ্ধা' পরিচয় দিয়ে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও 'জুলাই যোদ্ধাদের' মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
