× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দিল পুলিশ; লাঠিপেটা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুন, রণক্ষেত্র সংসদ এলাকা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৬ পিএম । আপডেটঃ ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৮ পিএম

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে সংঘর্ষের পর ধরিয়ে দেওয়া আগুন জ্বলছে। শুক্রবার দুপুরের ছবি।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে থেকে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, লাঠিপেটা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সোয়া একটার পর থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা আড়াইটা পর্যন্ত চলে। পরবর্তীতে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থানকারীদের সরিয়ে দিতে দেখা যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভের পর সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই একই রঙের পোশাক ও টুপি পরেছিলেন।

বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশ মঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’–দের সরিয়ে দিতে গেলে উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের অনেককে লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে, তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়। নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করা রুবেল নামের একজন ব্যক্তি বলেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেঠায় তাঁদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণ ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ধরিয়ে দেওয়া আগুন জ্বলতে দেখা যায়। বেলা আড়াইটার দিকেও অ্যাভিনিউয়ে পরিস্থিতি থমথমে ছিল। সেখানে কয়েকটি স্থানে ধরিয়ে দেওয়া আগুন জ্বললেও বিক্ষোভকারীদের দেখা যায়নি; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন।

পরে বিক্ষোভকারীরা বাইরে গিয়ে আবার বিক্ষোভ শুরু করেন এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁদের একটি দল আবার মঞ্চের দিকে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বেলা সোয়া দুইটার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা করা হয়েছে। এতে পুলিশের পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আসাদ গেট মোড়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান দেখা যায়। এর আগে বিক্ষোভকারীদের একটি দলকে পুলিশ খামারবাড়ি মোড়ের দিকে এবং অন্য একটি দলকে আসাদ গেট প্রান্তের দিকে সরিয়ে দেয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, জুলাই আন্দোলনে তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সরকার ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের যোগ দেওয়ার কথা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গতকাল দিবাগত রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা ছাড়া সনদ স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে।

এছাড়াও বাম ধারার চারটি দল—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ—জুলাই জাতীয় সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংশোধিত খসড়া না পেলে সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.