ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে থাকবে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথম স্তরে বিএনসিসি ও প্রক্টরিয়াল টিম, দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ এবং তৃতীয় স্তরে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেবে সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
মতবিনিময় সভায় ডাকসু ও হল সংসদের ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন প্রয়োজন অনুযায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখবে। ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। ইতিমধ্যে টহল টিমসহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়াও, নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুরোপুরি সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন, তাদের জন্য বাসের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে এবং পুলিশ এই বাসগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করবে।