× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে মায়ের বুকে সন্তানকে ফেরত দিতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম । আপডেটঃ ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৪৬ পিএম

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। সংস্কার ও নতুন সংবিধান ছাড়া এই নির্বাচন হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মায়েদের বুকে তাঁদের সন্তানদের ফেরত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ইলেকশনের ডেট ঘোষণা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, একটি নতুন সংবিধানের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’

একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ‘ফ্যাসিবাদী’ সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যাওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?’

সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন হলে গণ-অভ্যুত্থানে যাদের হাত চলে গেছে, সরকারকে তাদের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি করেন নাসীরুদ্দীন। তিনি বলেন, ‘যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, যদি সংস্কার ছাড়া, নতুন সংবিধান ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হয়, তাহলে ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে। অনেক বাচ্চাকে দেখেছি, এখনো বুকের দুধ পান করে কিন্তু বাবা শহীদ হয়েছে। যখন সে পরিবারের সাথে কথা বলেছি, তাদের মুখের ভাষা পাইনি, শুধু চোখের ভাষা পেয়েছি। চোখের ভাষাটি ছিল অশ্রু। যে অশ্রুতে তারা বলেছিল, স্বামী চলে গিয়েছে আমি বাংলাদেশ থেকে কিছু চাই না। কিন্তু আমি ভবিষ্যতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। যেখানে আমার বুকে যে সন্তান আছে, সে সন্তানকে আর কেউ খুন করবে না।’

গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের চরিত্র হননের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গণ-অভ্যুত্থানের যাঁরা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন এক লাখ টাকা-পাঁচ লাখ টাকা, বিভিন্নভাবে এমনভাবে ক্যারেক্টারাইজেশন করা হচ্ছে, মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তাঁরা ক্রিমিনাল (অপরাধী)। এসব ফাইজলামি বন্ধ করতে হবে।’

গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘একটা গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের ডিজিএফআই। আপনার আমার পকেটের টাকায় চলাফেরা করে। তারা কত টাকা খরচ করে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারবে না। তাদের কোনো কোথাও দায়বদ্ধতা নাই, অ্যাকাউন্টিবিলিটি (জবাবদিহি) নাই, ট্রান্সপারেন্সি নাই, তাদের একটাই কাজ—মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করে যে কিছু বলবি আয়নাঘরে নিয়ে আসব। আরে আয়নাঘর তো আমরা ভেঙে দিয়েছি। সামনে যদি আয়নাঘর প্রচেষ্টা করা হয়, আমরা সে আয়নাঘর কেন ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দিব।’

যথেষ্ট সহ্য করেছেন উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি ডিজিএফআই থাকতে হয়, অবশ্যই এটা সংস্কার করতে হবে। যদি সংস্কার করতে না পারেন, ট্যাক্সের টাকা নিয়ে যদি গুলি তাক করেন, বাংলাদেশের মানুষের ১৮ কোটি মানুষ এখনো ঘুমায় নাই। কয়টা অস্ত্র তাক করবেন? কয়জনকে মারবেন? মৃত্যু মেনে নিয়েছি। মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। এখন যতবার মারবেন, ততবার আমাদের পুনর্জন্ম হবে আবু সাঈদ হয়ে। আসুন মারুন।’

গত বছর গণ-অভুত্থানে ৫ তারিখে ছাত্রদের হাতে ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণভবনের পতন হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আরেকটা ফ্যাসিবাদের কারখানা রয়ে গিয়েছে এখনো। ছাত্রশক্তি থেকে, পাঠচক্র থেকে, জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল। সেই ছাত্রশক্তির ইতিহাস কি আপনাদের মনে আছে? আরেকটা ভবন আছে সেটা হলো বঙ্গভবন। এটার পতন আপনাদের হাত ধরেই হবে।’

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.