× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে বাধা নেই

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫১ এএম । আপডেটঃ ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১১ এএম

তারেক রহমান | ছবি—সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা প্রত্যাহার করেছে হাই কোর্ট।

রিট আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেয়।

এর ফলে তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত হয়ে রুল চালাতে চান না বলে জানান এবং রুল খারিজের আবেদন করেন।

আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “মাননীয় আদালত বলেছেন, জনাব তারেক রহমান সাহেবের উপরে ওনার বক্তব্য প্রচারের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা আজকে (বৃহস্পতিবার) থেকে আর কার্যকরী নয়। যে নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি করা হয়েছিল সেগুলো রিকল করে ভেকেট করে দিয়েছে এবং রিট পিটিশনটাই শেষ করে দিয়েছে।”

২০১৫ সালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তারেককে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ‘আইনের দৃষ্টিতে পলাতক’ থাকা অবস্থায় তার বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করেছিল হাই কোর্ট।

আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনার রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ ওই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়।

গত বছর নয়া পল্টনে বিএনপির এক সমাবেশে তারেক রহমানের ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। রিটকারী পক্ষ তখন হাই কোর্টের সেই রুল শুনানির উদ্যোগ নেয়।

তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করেছিল আবেদন করার সময়। রুলে তথ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।

রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে ওই সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

একইসঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের ওই সময়ের অবস্থা জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শককে তারেকের পাসপোর্টের মেয়াদ জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল, সেজন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ৩০ দিন।

কিন্তু তারেক রহমানকে এ বিষয়ে নোটিস পাঠানো যায়নি বলে সাড়ে নয় বছরেও রুলের ওপর শুনানি শুরু করা যায়নি।

নোটিস পাঠাতে গিয়ে দেখা যায়, রিট আবেদনে তারেক রহমানের ঠিকানার এক জায়গায় ‘রোড’ এর জায়গায় ‘রুম’ লেখা হয়েছিল। ভুল থাকায় নোটিস তিনি পাননি।

আদালত তখন ঠিকানা সংশোধন করে নোটিস পাঠাতে বলে; একই সঙ্গে ফ্যাক্স বা ই-মেইলেও যে নোটিস পাঠানো যায়, সে কথাও বলে।

২০২৩ সালের অগাস্টে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৮ অগাস্ট এক আদেশে হাই কোর্ট তারেক রহমানের বক্তব্য, বিবৃতি, অডিও ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়।

এখন রিট আবেদনকারী পক্ষ রিটটি আর না চালানোর কথা আদালতকে জানালে বৃহস্পতিবার বিকালে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বসে এ আদেশ দেয়।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.