বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় খালাস দিয়েছে নোয়াখালীর একটি আদালত।
বুধবার বিকেলে নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নোমান মহি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানের নামে পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত পাঠাতে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম কোনো মামলায় তারেক রহমান খালাস পেলেন, যিনি ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দেওয়া একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।
নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর বিচারক সে সময় অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চরজব্বর থানাকে নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আদালত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত রোববার বিকেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে মিছিল করে সুবর্ণচরের বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় মামলার বাদী ওমর ফারুককে সুবর্ণচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই চেয়ারম্যানের বহিষ্কার করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পরের বছর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তার যাবজ্জীবন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ৯ বছরের, বিদেশে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা এবং বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তির অভিযোগে মামলায় দুই বছরের সাজা হয়েছে।
তারেক রহমান দেশের বাইরে থাকায় তিনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক এবং এ কারণে তিনি কোনো মামলায় আপিল করতে পারেননি।