উপরে বাঁ থেকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু; মাঝে বাঁ থেকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান; নিচে বাঁ থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার | ছবি—সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একজন আইনজীবী দুদকে অনুসন্ধানের আবেদন করেন। গতকাল রোববার আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন।
দুদক সূত্র আজ সোমবার সাংবাদিকদের জানায়, আইনজীবীর তালিকায় থাকা ৪১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে অনুসন্ধানের আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তথাকথিত যে নির্বাচন হল, সেই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিল যাদের অনেকেই মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এমপি ছিলেন, তারা যে হলফনামায় সম্পত্তির ঘোষণা দিয়েছে সেটি নিয়ে টিআইবি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
“সেই তথ্য নিয়ে দৈনিক সমকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে উঠে আসে অনেকের সম্পত্তি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হলফনামায় সব সম্পত্তির তথ্য সাধারণত সবাই প্রকাশ করে না। এরপরও যা প্রকাশ করেছে তা কমপক্ষে ২০০ শতাংশ এবং ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫১৩ শতাংশ পর্যন্ত সম্পত্তি বৃদ্ধির তথ্য এসেছে।”
বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা তুলে ধরে এ আইনজীবী বলেন, “সেসময় পত্রিকায় খবর এসেছিল দুদক এ বিষয় নিয়ে তদন্ত করবে, তখন আদালত থেকে আমাদেরকে অপেক্ষা করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ছয় মাস সময় পেরিয়ে গেলেও দুদক ওই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। সেজন্যই আমরা দুদকে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করেছি।”
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, এসব রাজনীতিবিদদের সম্পদের অনুসন্ধান করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হলেও ‘নানামুখী চাপে’ সেটি আর এগোয়নি।
ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে যেসব সাবেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- টিপু মুনশি, নসরুল হামিদ বিপু, সাধন চন্দ্র মজুমদার, আনিসুল হক, দীপু মনি, ডা. এনামুর রহমান, জাহিদ মালেক, তাজুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাহজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম ও হাসানুল হক ইনু।
এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমেদ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সরওয়ার জাহান, বগুড়া-২-এর শরিফুল ইসলাম জিন্না, নাটোর-১-এর শহিদুল ইসলাম বকুল, যশোর-১-এর শেখ আফিল উদ্দিন, নওগাঁ-৩-এর ছলিম উদ্দীন তরফদার, যশোর-৩-এর কাজী নাবিল আহমেদ, রাজশাহী-৪-এর এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমানের নাম এসেছে এই তালিকায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh