কোটা সংস্কার আন্দোলকে কেন্দ্র করে সহিংতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার জানান।
সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের এ জরুরি সভা হয়।
সভায় যোগ দেয়া সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, তাদের প্রথম সভাটি ১০টায় শুরু হয়ে ঘণ্টাখানেক পরে শেষ হয়।
কিন্তু সেখানে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। দ্বিতীয় বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং সময় বেঁধে দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
সভায় বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছে সিন্ডিকেট।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এবং আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেটের সভায়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়ার ধারবাহিকতায় করণীয় নির্ধারণে বুধবার এ সভা ডাকা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভার শুরুতে কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয় সভায়।
সভার সিদ্ধান্ত:
উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩-এর আর্টিকেল ২৪(এল) ধারার ক্ষমতাবলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হল।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল আবাসিক হল/হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল/হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তীতে হল খোলার পর মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ করে শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে। বহিরাগত কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থান না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হল। বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানানো হলো।
এদিকে এই ক্যাম্পাসে ঢোকার পথ মঙ্গলবার রাত থেকে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। প্রবেশ পথগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের একজন করে কর্মচারীকেও অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে এ পর্যন্তও ক্যাম্পাসে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। তবে শিক্ষার্থীদের বের হতে দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্পাসের ভেতরে রাতে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যারাও অবস্থান করেছেন। ক্যাম্পাসের ভেতর বাইরে অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা যায় র্যব ৩ এর সদস্যদের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh