রাজধানীর গোপীবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছয় দিন পর চালু হয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১টা ১০ মিনিটে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। গাড়িটির ১০টি বগিতে যাত্রী ছিল আট শতাধিক।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের পুড়ে যাওয়া বগিগুলো সৈয়দপুর ওয়ার্কশপে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন দশটি বগি দিয়ে চলাচল শুরু করেছে ট্রেনটি।
যশোর স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রী তরিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের কারণে চারজন মারা গেছে, খবরে শুনেছিলাম। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরে আবার ট্রেনটি চালু হওয়ায় খুশি। এতদিন যশোর থেকে বাসে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, হরতাল-অবরোধে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। তারপর ট্রেনে আগুনের ঘটনা শুনে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
ট্রেনটির টিটিই হাসান মাহমুদ বলেন, এমনিতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে অহরহ। যাত্রীরা আহত হন। এর মধ্যে নাশকতার চেষ্টা আতঙ্ক বাড়িয়েছে। স্টেশন ও ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি যুক্তিযুক্ত। তাই রেললাইন ও ট্রেনের নিরাপত্তায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে বেনাপোল থেকে ১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বেনাপোল এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে ৪৯ জনই ছিলেন ভারতফেরত বাংলাদেশি। যাত্রাপথে ১১টি স্টেশনে বিরতি দেয় ট্রেনটি। রাতে কমলাপুর পৌঁছানোর আগেই গোপীবাগে নাশকতাকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় রেলের চারটি বগি। আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশুসহ চারজন। দগ্ধ হয় আরও কয়েকজন নারী-পুরুষ। এ ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ রাখা হয় বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ পশ্চিমাঞ্চলের ছয়টি ট্রেন।