আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত
সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে ফের রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তারা। আজ বুধবার শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে এই ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে বেলা আড়াইটায় লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর-টিএসসি-হাইকোর্ট-মৎস্যভবন হয়ে শাহবাগে অবস্থান করেন তারা। সেখানে বিকেল পৌনে ৪টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজকের কর্মসূচিতে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখযোগ্য। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুরো শাহবাগ এরিয়াতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ জনগণ গাড়ি ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যেতে থাকেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য জায়গা করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন শিক্ষার্থীরা৷ বেলা আড়াইটায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ভিসি চত্বর, রাজু ভাস্কর্য হয়ে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন।
হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো
২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয় : শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোটা ঢাবি
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh