নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) পরাজিত প্রার্থীরা। ভোটে ভরাডুবির জন্য দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়ী করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা।
জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।
এসময় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে এমপি বানানো ছাড়া আর কিছু ভাবেননি জি এম কাদের। তার কারণেই দলের এই হার হয়েছে।
দলটির প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় টাকা পেয়েছিল জাপা। প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে জি এম কাদের, মুজিবুল হক চুন্নুরা সহায়তা দূরে থাক, খবর পর্যন্ত নেননি। তারা নিজের এবং আত্মীয়দের জন্য জয় নিশ্চিতে, দলের নেতাদের জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার চেষ্টা করেননি। বিক্ষাভকারীদের ঠেকাতে জিএম কাদেরের বনানী কার্যালয় ঘিরে ছিলে পুলিশ। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় সাংবাদিকদের সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ৪ বছরে জি এম কাদেরের সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদুরদর্শিতা এবং অদক্ষতায় জাপা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে নির্বাচনে। লাঙলের ভরাডুবি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন গত রোববারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে কারচুপি করেছে আওয়ামী লীগ।
বিক্ষোভ চলাকালে তিনি বলেন, জি এম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুর অযোগ্য নেতৃত্বে জাপা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার নেই।
অন্যদিকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা আসন ছাড় না পেলেও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরকে ঢাকা-১৮ আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। অন্য প্রার্থীরা সহায়তা না পেলেও এই আসনে প্রচারে জোর ছিল জাপা। কিন্তু বিপুল ভোটে হেরে জামানত হারিয়েছেন শেরীফা কাদের।