ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শতকরা ৮৪ শতাংশের বেশি পোশাক খাত থেকে অর্জিত হয় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পোশাক শিল্প খাত থেকে অর্জিত হয়। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের পেছনে সহায়ক হিসেবে কাজ করা পোশাক শিল্প মালিকদের কল্যাণে বস্ত্র অধিদপ্তর বস্ত্র শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করছে। সেগুলো হলো, বস্ত্র আইন, ২০১৮: দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনের সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের জন্য ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ পাস হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য বস্ত্র অধিদপ্তর কাজ করছে।
বস্ত্রখাতে বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান: বস্ত্র আইন, ২০১৮ এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী ‘বস্ত্র খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও সহায়তা প্রদান করিবে’। সে অনুযায়ী বস্ত্র অধিদপ্তর কাজ করছে। বস্ত্র শিল্পের নিবন্ধন: বস্ত্র আইন, ২০১৮ এর ধারা ২(৬) অনুযায়ী বস্ত্র অধিদপ্তর হচ্ছে বস্ত্র খাতের পোষক কর্তৃপক্ষ। পোষক কর্তৃপক্ষ হিসেবে বস্ত্র অধিদপ্তর স্থানীয় এবং বিদেশি বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রদান করছে। যার ফলে এ শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিপণন বাড়ছে।
বায়িং হাউজের নিবন্ধন: বায়িং হাউজ নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন, ২০১৯ জারি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী বস্ত্র অধিদপ্তর কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১০৮৩টি স্থানীয় এবং বিদেশি বায়িং হাউজ নিবন্ধিত হয়েছে। এ সকল বায়িং হাউজ পণ্যের নতুন বাজার সম্প্রসারণ এবং এশিল্পের বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোষক কর্তৃপক্ষের সেবা প্রদান: বস্ত্র শিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী পোষক কর্তৃপক্ষের সকল সেবা প্রদান করা হচ্ছে; বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবল তৈরি: বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে বছরে গড়ে ৫০০০ এর অধিক শিক্ষার্থী টেক্সটাইল বিষয়ে পাস করে বের হচ্ছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োজিত হয়ে বস্ত্রখাতে অবদান রাখছে। বস্ত্র খাতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন: বর্তমানে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৫টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট চলমান রয়েছে; বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ নতুন নতুন কোর্স সংযোজনের মাধ্যমে এ শিল্পের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh