× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো এক কয়েদি মেয়রের ছেলে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

২৬ জুন ২০২৪, ১১:৩৯ এএম । আপডেটঃ ২৬ জুন ২০২৪, ১২:০০ পিএম

বাঁ থেকে উপরে নজরুল ইসলাম ও ফরিদ শেখ, বাঁ থেকে নিচে মো. জাকারিয়া ও আমির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর পর পরই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে মো. জাকারিয়া বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে। এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য তিন আসামি হলেন- বগুড়ার সদর উপজেলার ফরিদ শেখ, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ও নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার আমির হোসেন।

ওই চারজন গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টা ৫৬ মিনিটের দিকে বগুড়া কারাগারের ছাদ ফুটো করে রশির মাধ্যমে প্রাচীর টপকে পালান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে বগুড়া শহরের চেলোপাড়া চাষিবাজারের মাছের আড়ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তাদের। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী আজ সকালে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে ১ জুন থেকে বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাহালু উপজেলায় স্কুলছাত্র নাইমুল ইসলাম ওরফে নাইমকে (১৩) অপহরণের পর হত্যা এবং ইটভাটায় লাশ পুড়িয়ে ভস্মীভূত করার দায়ে মো. জাকারিয়ার মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গত বছরের ৬ জুলাই উপজেলার উলট্ট বাজার থেকে জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহত নাইমুর কাহালু উপজেলার রুস্তমচাপড় গ্রামের রফিকুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। সে কাহালু পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল সকালে স্কুল ও কোচিং করতে যাওয়ার পথে অপহৃত হয় নাইমুল। অপহরণকারীরা তাকে একটি সারের দোকানে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। চার দিনের মাথায় ৯ এপ্রিল মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা নেন তারা। কিন্তু অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় সারের দোকানে গলায় রশি পেঁচিয়ে নাইমুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। লাশ সারের বস্তায় ভরে মো. জাকারিয়ার বাবার ইটভাটার আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। এ ঘটনায় নাইমের বাবা রফিকুল ইসলাম ১০ জনকে আসামি করে কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর ৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন আদালত। মো. জাকারিয়াসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। অন্য আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.