দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ তিন হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সদ্য গত হওয়া এপ্রিল মাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এসব পণ্যসামগ্রী জব্দ করে।

জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে অস্ত্র, সোনা, রুপা, গহনা, শাড়ি, থ্রিপুস, কাঠ, চাপাতা, কয়লা, কচ্ছপের হাড়, কষ্টি পাথরের মূর্তি, নৌকা, ইজিবাইক, ট্রাক্টর ও প্রাইভেটকার রয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পিস্তল, একটি রাইফেল, চারটি গান, চারটি ম্যাগাজিন এবং ৪৯ রাউন্ড গুলি। মঙ্গলবার (৭ মে) বিজিবির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজিবি জানিয়েছে, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ কেজি ৪০ গ্রাম স্বর্ণ, ৭০৪ গ্রাম রূপা, ১,৯০,২২৪টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৫১৫টি ইমিটেশন গহনা, ৭,০৪১টি শাড়ি, ১০,৩৬৭টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ১,০০৫ ঘনফুট কাঠ, ১,০৪৮ কেজি চা পাতা, ১২,৯০০ কেজি কয়লা, ৩৮ কেজি ৪০০ গ্রাম কচ্ছপের হাড়, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ২টি ট্রাক, ১টি কাভার্ডভ্যান, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৩টি মাহেন্দ্র/ট্রাক্টর, ১৫টি নৌকা, ২৩টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬৩টি মোটরসাইকেল এবং ১১টি বাইসাইকেল। 

এছাড়াও গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে নয় লাখ পাঁচ হাজার ৯৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১২ কেজি ৩১১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩২ কেজি ৭৯৩ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ৮৩ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৯০০ বোতল বিদেশি মদ, ৬০৩ লিটার বাংলা মদ, এক হাজার ৮৮ ক্যান বিয়ার, ১,১১৬ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ১৫০টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ২ হাজার ৪৪২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ কেজি ৮৮০ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার ৫২০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯১ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৯৯টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১২ বোতল এলএসডি এবং ৫৬ হাজার ৬৬০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৫ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ২৯৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় বিজিবি।