× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্মের বিষয়ে কিছুই জানতেন না স্ত্রী

০৫ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ এএম । আপডেটঃ ০৫ মে ২০২৪, ১৪:০১ পিএম

মানবসেবার আড়ালে স্বামী মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্মের বিষয়ে কিছুই জানতে না বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী মিতু হালদার। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। ৬ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মিতু ডিবিকে জানান, তিনি মিল্টনের প্রতিষ্ঠানে সময় দিতেন না। তিনি তার চাকরি নিয়ে ব্যস্থ থাকতেন। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের নামে যেসব অর্থ এসেছে, তার কোনো কিছুতেই তার নাম নেই। তবে মিতু তার স্বামীর অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর-রশীদ।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আসেন মিতু হালদার। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। এর মধ্যে তাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। ডিবি জানায়, মিল্টনের অপকর্মে মিতুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন তারা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্রে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এ মামলার তদন্ত চলা পর্যন্ত তাকে নজরদারিতে রাখা হবে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

ডিবির একটি সূত্র জানায়, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, টর্চার সেলে আশ্রিতদের নির্যাতন করেছেন, সেখানকার বীভৎস ছবি স্ত্রী মিতুকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। কিন্তু তিনি শুরু থেকেই বিষয়টি অস্বীকার করছেন। এদিকে প্রতারণার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ মিল্টনকে আদালতে তুলেছিল পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইনে হওয়া মামলায় তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় মিল্টনের আরও ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসবের সঙ্গে স্ত্রী মিতু হালদারের কোনো যোগসাজশ বা সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না— জানতে চাইলে হারুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহের পর তথাকথিত আর্তমানবতার সেবার নামে আত্মসাৎ করেছে তারা। আশ্রয়কেন্দ্রে স্ত্রী মিতু যেতেন। তিনি নিজেও তো নার্স। রিনি স্বামীর অনিয়ম অপকর্ম জেনেও পুলিশকে অবগত করেননি। প্রতিবাদ করেননি। এতে স্বামীর অপকর্মের দায় স্ত্রী হিসেবে মিতু এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, ৯০০ লোকের প্রাণ কীভাবে গেল? হাসপাতালে নেননি, ডেথ সার্টিফিকেট নেননি, থানা পুলিশকে অবহিত করেননি। ৯০০ লোকের প্রাণ যাওয়ার যে কথা তিনি বলেছেন, সেগুলো আদৌ সত্য কি না, সত্য হলে মরদেহগুলো কী করেছেন- সবই তদন্তে নিয়ে আসা হবে। এ আশ্রমের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.