রাজধানীর আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলসহ নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভোক্তার ডিজি।তিনি বলেন, গত বছরের শেষ দিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেওয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। মূলত গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে মাংসের দাম বেড়ে গেছে।
তবে রমজান মাসজুড়ে খলিল ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেও গত ২১ জানুয়ারি জানায়, কম দামে আর মাংস বিক্রি করতে পারবে না। মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেন তিনি। এদিকে, উজ্জ্বল দাম বাড়িয়ে ৬৩০ টাকা করেছে; আর নয়ন ভালো মানের মাংস বিক্রি করছে ৬৫০ টাকায়।
রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসে মাংস কিনছিল এসব দোকানে। এখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল।