× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না খেজুর

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৯ পিএম । আপডেটঃ ১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

রমজানের আগে থেকেই অভিযোগ ছিল ‘বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর’। বেশ কিছুদিন চলা এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইফতারে বহুল ব্যবহৃত দুই ধরনের খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বুধবার নির্ধারিত মূল্যের প্রতিফালন দেখা যায়নি রাজধানীর কোনো বাজারে। সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। ব্যবসায়ীরা বলছেন— সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুর হিসাবে বাংলা খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৪০০ টাকা কেজি।

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাম্বো মেডজুল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। গত বছর রোজায় বিক্রি হয় ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। সাধারণ মেডজুল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। গত বছর এর দাম উঠেছিল ১ হাজার টাকা। মাবরুম খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। গত বছর ছিল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। প্রতি কেজি আজওয়া বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা, যা গত বছর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি তিউনিসিয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, যা আগে ৩০০ টাকা ছিল।

বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন— পাইকারি বাজার থেকে কিনতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়েছে। সরকার খুচরা বাজারে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, পাইকারদের কাছ থেকেই তাদের ওই দামে কিনতে হয়েছে। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। 

ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সরকার এমন এক সময় খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, যখন রমজান শুরু হয়ে গেছে। ফলে বেঁধে দেওয়া দামের প্রভাব বাজারে পড়ার সম্ভাবনাই কমে গেছে।

মো. আনিস রামপুরা বাজারে খেজুর কিনতে এসেছেন। দাম নির্ধারণের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজারে সেই দামে খেজুর মিলছে না। কারণ সরকার দাম নির্ধারণ করে আর কোনো খবর রাখে না। মূল্য নির্ধারণ একটা তামাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাম নির্ধারণ করলে বাজারেও তদারকি করতে হয়। কিন্তু সেই তদারকি হচ্ছে না।

আনিস বাজারে খেজুর কিনতে এসেছেন আকরাম হোসেন সেখানকার খচরা বিক্রেতা। তিনি বলেন, সরকার যদি নির্ধারণ করে দেয়, তবে সরকার সে দামে বিক্রি করুক। আমরা বেশি দামে কিনে কম দামে কীভাবে বিক্রি করব? কম দামে পেলে অবশ্যই কম দামে খেজুর বিক্রি করব।

এভাবে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া সরকারের ঠিক হয়নি বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম শেখ। তার মতে— এভাবে খেজুরের দাম বেঁধে দেওয়া ঠিক হয়নি। বরং সরকার টিসিবির মাধ্যমে খেজুর আমদানি করলে তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পারত। 

বিষয় : জাতীয় খেজুর

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.