রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম ছেলের মরদেহটি বুঝে নেন।
গ্রিন কোজি ভবনের ওই আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে আগেই হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে নাজমুল ও সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এরপর গত সোমবার বৃষ্টি এবং মঙ্গলবার নাজমুলের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিআইডির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ জানান, গত ১ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা মরদেহ থেকে নাজমুলের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। পরে ধর্মীয় রীতি মেনে নাজমুলের মরদেহ দাফনের জন্য তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগুনের ঘটনায় তখন আমরা নাজমুলকে খুঁজে পাইনি। তার শরীর এমনভাবে পুড়েছে যে চেনা যাচ্ছিল না। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় ১২ দিন পর লাশ বুঝে পেয়েছি। আমার চার ছেলের মধ্যে নাজমুল ছিলেন দ্বিতীয়। আমাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর থানার নলবুনিয়া কান্দি। নাজমুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।